আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে যে কোনো সময় তুরস্ক সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে পারে বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। রবিবার (৬ অক্টোবর) হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেস সেক্রেটারি স্টিফেন গ্রিশাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, এদিন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোগানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ফোনালাপের পর বিবৃতিটি দেওয়া হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিজ দপ্তর থেকে হামলার শঙ্কা জানিয়ে এমন বিবৃতি আসার পর অঞ্চলটির যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক রকম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কেননা সেখানে কুর্দিদের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। দীর্ঘদিন যাবত অঞ্চলটিতে তাণ্ডব চালানোর জন্য বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীটিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছিল ওয়াশিংটন।
এ দিকে হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের এই অভিযানে মার্কিনবাহিনীর কোনো সমর্থন কিংবা সম্পৃক্ততা থাকবে না। তাছাড়া এলাকাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্যরাও তখন অবস্থান করবে না।
বিবৃতিতে মার্কিন প্রেস সেক্রেটারি স্টিফেন গ্রিশাম বলেছেন, ‘আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর চলমান অভিযানে বন্দি বিদেশি যোদ্ধাদের নিজেদের হেফাজতে নিতেই তুরস্কের এই কার্যক্রম।’
অপর দিকে নিজেদের সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি স্বরূপ ইতোমধ্যে সিরীয় সীমান্তে তুরস্কের সাঁজোয়া যান মোতায়েনের ছবি ও ভিডিও তুর্কি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে অসংখ্য সেনা সদস্যদের মোতায়েন অবস্থায় দেখা যায়।
আরও পড়ুন :- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়, হুঁশিয়ারি উ. কোরিয়ার
মূলত প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সেই অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ার পর পরই তুর্কি সেনাবাহিনী এমন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের। তাছাড়া তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত এলাকা রক্ষার্থে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড