• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অচল ইরাক, নিহত শতাধিক

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৫৫
ইরাকে বিক্ষোভ
বাগদাদে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। (ছবিসূত্র : দ্য ডেইলি মেইল)

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাকজুড়ে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। এতে টানা চারদিন যাবত সড়কে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর চলা সংঘর্ষে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে একশ ছাড়িয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। তাছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে আড়াই হাজারের অধিক বেসামরিক। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ দমনে এরই মধ্যে রাজধানী বাগদাদজুড়ে জারি করা হয়েছে কারফিউ। তাছাড়া শহরটির প্রতিটি সড়কে পুরোপুরি সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, সরকারি চাকরি এবং দুর্নীতি নির্মূলের দাবিতে ইরাকের গণআন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে। বিক্ষোভে নিহত শতাধিকের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পুলিশসহ নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন। তাছাড়া আহতদের মধ্যে অন্তত ৪২৩ জন নিরাপত্তাকর্মী।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইরাকের দক্ষিণ প্রান্তের শহরগুলোতে ইতোমধ্যে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। তবে জনগণ কিছুই মানছে না। তারা কারফিউ ভেঙেই রাস্তায় নামছে। আর এতেই সংঘর্ষের ঘটনা বেশি ঘটছে।

চাকরির সংকট, নিম্নমানের সরকারি সেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থেকে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। তারা রাজধানীর সব প্রধান রাস্তা বন্ধ করে দিলে বিক্ষুব্ধদের দমাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি চালায় পুলিশ।

এ কারণে গত বুধবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আরও তিন শহরে। শুক্রবার এই বিক্ষোভ আরও বিস্তৃত হয়েছে। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই ইরাক জুড়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ দিকে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি বলেছেন, তার সরকার বিক্ষোভকারীদের দাবি মানতে প্রস্তুত। তবে দুর্নীতি দূর করা কিংবা অন্যান্য সমস্যাগুলো একদিনে সমাধান করা যাবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এজন্য আন্দোলনকারীদের কাছে সময় চেয়েছেন মাহদি।

আরও পড়ুন :- কারফিউয়ের পরও বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক

অপর দিকে প্রশাসনের দাবি, বিক্ষোভের কারণে শহরে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কায় এরই মধ্যে রাজধানীজুড়ে আপাতত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড