ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
১৯৯২-১৯৯৫ সাল। বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় ঘটে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সংঘটিত সবচেয়ে বড় গণহত্যা। হাজার হাজার বেসামরিক মুসলমানকে হত্যা এবং হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করে বর্বর খৃস্টান সার্ব বাহিনী। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ যুদ্ধে অন্তত তিন লক্ষাধিক মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করে সার্বিয় বাহিনী। দখল করে নেয় মুসলিমদের জমিজমা।
সে সময়ই মুসলিম নারী ফাতা অলিভিচকে তার বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সেখানে নির্মাণ করা হয় একটি গির্জা।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) ইউরোপীয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস গির্জাটি ভেঙে ফেলার এবং মহিলার জমি ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইয়ানি শাফাক জানায়, আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে গির্জা ভাঙার নির্দেশ বাস্তবায়নের সময় বেধে দিয়েছে আদালত।
ফাতা অলিভিচ বসনিয়া-হার্জেগোভিনার যুদ্ধকালীন দেশটির শ্রাব্রিনিসা উপশহরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ৯৫’র গণহত্যা তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন। এ সময় তিনি স্বামী সাজির অলিভিচসহ অন্তত ২২ জন নিকটাত্মীয়কে হারান। আর এক সময় বাপদাদাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাকে।
যুদ্ধ শেষে ফাতা অলিভিচ নিজ জমি থেকে গির্জা অপসারণের জন্য আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং আদালতের দ্বারস্থ হন। এসময় গির্জা-কর্তৃপক্ষ তাকে জমির মূল্য পরিশোধ করার কথা জানালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। অবশেষে আদালতের মাধ্যমে আজ (২রা অক্টোবর) তিনি তার জায়গাটুকু ফিরে পেলেন।
রয়টার্স ও আল-আরাবিয়া অবলম্বনে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড