আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের তেল বিক্রির ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য এবার যুক্তরাষ্ট্রই নিজেদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে আয়োজিত জাতিসংঘ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে তেহরান বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারংবার আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাষ্ট্রটি নিজেই ইরানের সঙ্গে আলোচনার পথে প্রধান অন্তরায়। তাছাড়া সম্পূর্ণ যুক্তিপূর্ণ ও সঠিক অবস্থানে থাকার কারণে আমরা আলোচনায় বসতে ভয় পাই না; এমনকি সংলাপ থেকেও পালিয়ে যাই না।’
এ দিকে সূত্রের বরাতে ইরানি গণমাধ্যম ‘পার্স টুডে’ জানায়, গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে আয়োজিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। যেখানে তিনি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন আগ্রাসনসহ মধ্যপ্রাচ্যকে সন্ত্রাসবাদের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন।
অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট রুহানি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইরান নয়- যুক্তরাষ্ট্রই মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সন্ত্রাসবাদের মূল হোতা।’
অপর দিকে গত শুক্রবার তেহরান বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের চলতি জাতিসংঘ অধিবেশনের অবকাশে বিশ্বের বহু শীর্ষ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি এমন কোনো রাষ্ট্রপ্রধান পাইনি যিনি পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া এবং তেহরানের তেল বিক্রিতে একতরফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানাননি।’
তিনি বলেন, ‘শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে আমাদের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের বিদ্বেষী ও নিপীড়নমূলক আচরণসহ তেহরানের সঠিক অবস্থানের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যে কারণে আমি আবারও বলতে চাই, ইরানের ওপর যতক্ষণ সর্বোচ্চ চাপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত থাকবে ঠিক ততোক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।’
এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ছয় জাতির পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের বের করে নেয়। একই সঙ্গে ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে তেহরানের তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এর পরপরই এই দুদেশ মধ্যকার সম্পর্কে এক বৈরিতা দেখা দেয়, যা এখনো অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন :- ইরান নয়, মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদের মূল হোতা যুক্তরাষ্ট্র : রুহানি
সে বছরের জুনে ভিয়েনায় নিরাপত্তা পরিষদের ইরানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরকারী ছয় সদস্য দেশ হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান)।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড