• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হংকংয়ে শান্তি ফেরাতে আবারও সংলাপ চান ক্যারি ল্যাম

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৫০
ক্যারি ল্যাম
হংকংয়ের চীনপন্থি শাসক ক্যারি ল্যাম। (ছবিসূত্র : সিনহুয়া)

ইউরেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব উপকূলের দেশ হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের সরকার বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে অঞ্চলটিতে শান্তি ফেরাতে জনতার সঙ্গে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির চীনপন্থি শাসক ক্যারি ল্যাম।

মঙ্গলবারের (১৭ সেপ্টেম্বর) এক ঘোষণায় দেশের গণতন্ত্রকামীদের প্রতি অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যেখানে আগামী সপ্তাহ থেকে স্থানীয় বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়ে ক্যারি ল্যাম তার পরিকল্পনা জানিয়েছেন।

কর্তৃপক্ষের বরাতে চীনা গণমাধ্যম 'সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট' জানায়, আনুষ্ঠানিক সেই সংলাপে সাধারণ জনগণের পক্ষে প্রায় দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। গত তিন মাসেরও বেশি সময় যাবত চলা এই সরকার বিরোধী বিক্ষোভে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র খ্যাত হংকং। যেখানে জনসাধারণের ক্ষোভ শান্ত করতে অঞ্চলটির প্রধান নির্বাহীকে এক রকম চাপে রেখেছে বেইজিং।

এ দিকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে মূলত গেল মাসেই সংলাপের ডাক দিয়েছিলেন ক্যারি ল্যাম প্রশাসন। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে বিক্ষোভরত গণতন্ত্রকামীদের প্রথম চাওয়া আসামি প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের মাধ্যমে ফের আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও তখন তার সেই আহ্বান পুরোপুরি নাকচ করে দেয় বিক্ষোভকারী জনগণ।

বিশ্লেষকদের মতে, চলতি সপ্তাহে গত কয়েক দিনের সহিংস বিক্ষোভের পর অবশেষে আবারও সংলাপে বসার বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে মূলত জনসাধারণের অংশগ্রহণ অবাধ করণের লক্ষ্যে আসন্ন সংলাপের পর্ব যতটা সম্ভব উন্মুক্ত রাখা যায় এর আশ্বাসও দিয়েছেন দেশটির চীনপন্থি এই শাসক।

হংকংয়ে বিক্ষোভ

হংকংয়ের সড়কে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করছেন জনগণ। (ছবিসূত্র : এনবিসি নিউজ)

অপর দিকে গত মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ল্যাম বলেছেন, 'হংকংয়ের সমাজ মূলত দৃঢ় অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুর সমন্বিত এক রূপ। আমরা সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে একই মঞ্চে একত্রিত করতে চাই; যেখানে তারা আমাদের কাছে খোলাখুলি নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারবে।'

প্রায় ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের অধীনে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় অঞ্চলটি শক্তিশালী চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ঐতিহাসিক এই দিবসটির ২২ বছর পূর্তিতে গত ১ জুলাই আন্দোলনে সড়ক অবরোধ করেন গণতন্ত্রকামী লোকজন। প্রতি বছরের এই দিনে কর্মকর্তারা এক দিকে সরকারি ভবনগুলোতে উৎসব পালন করেন আর অপর দিকে গণতন্ত্রকামীরা অবস্থান নেন রাজপথে।

দীর্ঘদিন যাবত হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল থেকে অঞ্চলটিকে স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দেয় দেশটি। এর আগে গত মাসেও চীনপন্থি এক বিল নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ইউরেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব উপকূলের এই দেশ।

মূলত চীন এবং তাইওয়ানে আসামি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে তখন গোটা দেশে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ দাঁড়ায় চীনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে।

আরও পড়ুন :- ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনি নারীর নির্মম মৃত্যু (ভিডিও)

বেইজিংয়ের দুর্বল আইন ব্যবস্থা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ডের কারণে হংকংয়ের সাধারণ মানুষ সেখানে কাউকে ফেরত পাঠাতে চাইছেন না। তাদের মতে, পার্লামেন্টে বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে চীনা হস্তক্ষেপের সুযোগ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড