• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ব্রেক্সিট সংকট

পার্লামেন্ট স্থগিত ইস্যুতে ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্টে শুনানি শুরু

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:০৫
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত ইস্যুতে সুপ্রিমকোর্টে চলছে শুনানি। (ছবিসূত্র : বিবিসি নিউজ)

দীর্ঘদিন যাবত চলা ব্রেক্সিট সংকট নিরসনে কার্যকর কোনো সিদ্ধান্তে না গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আচমকা পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণায় এরই মধ্যে ক্ষোভে ফেটে উঠছে গোটা যুক্তরাজ্য। যার ধারাবাহিকতায় এবার পার্লামেন্ট স্থগিতের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে।

আদালত সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা 'রয়টার্স' জানায়, গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া এই শুনানির আগামী শুক্রবার রায় ঘোষণা হতে পারে। আদালতে বিচারক প্রধানমন্ত্রী বরিসের এই সংসদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিলে অতি দ্রুতই পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতে হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

'বিবিসি নিউজে'র প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত সপ্তাহে ব্রিটেনের এই পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিতকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে ঘোষণা করেন স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত। যদিও এর আগেই লন্ডনের হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এই পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি বৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন। মূলত গত মঙ্গলবার এই দুই রায় নিয়েও আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এ দিকে সুপ্রিমকোর্টে চলা শুনানিতে সরকারবিরোধী জোটের আইনজীবীদের অভিযোগ, 'প্রধানমন্ত্রী বরিস তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের এক রকম বাধা হিসেবে দেখেন বলেই তিনি এই পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন। তাই অবিলম্বে পার্লামেন্টের অধিবেশন আবারও শুরু করে চলমান ব্রেক্সিট ইস্যুতে এক কার্যকরী সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক।'

বরিস জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। (ছবিসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান)

অপর দিকে সরকার পক্ষের দাবি, 'যেকোনো সময় পার্লামেন্ট স্থগিত করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর আছে। যা তা রাজনৈতিক হিসেবের মধ্যে পড়লেও হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বরিস একজন বৈধ প্রধানমন্ত্রী; তাই তিনি চাইলেই এই পার্লামেন্টের অধিবেশন যেকোনো সময় স্থগিত এবং প্রয়োজনে পুনরায় চালু করতে পারেন।'

যদিও ব্রিটিশ লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন মনে করেন, 'প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কখনোই জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি কেবলই নিজ দলের সদস্যের ভোটে নির্বাচিত; তাই তাকে কোনোদিন গণতন্ত্রের পক্ষের লোক বলে বিবেচনা করা যাবে না।'

করবিনের ভাষায়, তিনি (বরিস) রাজনীতিতে সবসময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুসরণ করছেন। আর এ কারণেই ব্রিটিশ জনগণ বর্তমানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও চাকরিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।'

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ব্রেক্সিট ইস্যুতে কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় আচমকা পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মূলত তার সরে দাঁড়ানোর পর দেশটির নতুন নেতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি নেতা বরিস জনসন।

আরও পড়ুন :- ইইউও এখন ব্রেক্সিট চায়, দাবি বরিসের

যদিও নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিতর্কিত ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজনে একটি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড