• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চীনে মুসলমান নারীদের জোর বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:১১
মুসলিম
(ছবি : সংগৃহীত)

চীনে মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক ইনজেকশনের মাধ্যমে বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে। দেশটির বন্দি শিবিরে উইঘুর মুসলমান নারীদেরকে এমনটা করা হচ্ছে। বন্দিশিবিরে একসময় থাকা নারীদের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও জাপানের নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।

গুলবাহার জলিলভা নামে একজন যিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে চীনের পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামে এই আটক রাখার ক্যাম্পগুলোতে বন্দি ছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের শরীরে প্রায়ই ইনজেকশন পুশ করত তারা।

দরজার ছোট একটু জায়গা দিয়ে আমাদের হাত আটকাতে হয়েছিল। ইনজেকশন দেওয়ার পর আমরা দ্রুত বুঝতে করতে পারি আমাদের আর কখনো পিরিয়ড হবে না বলেন ৫৪ বছর বয়সী ওই নারী। আটক হওয়ার পর অধিকাংশ সময় ১০ থেকে ২০ ফুটের একটি ছোট্ট ঘরে অর্ধশতাধিক নারীর সঙ্গে কাটাতে হয়েছে তাকে। এতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে তাদের দিন যাপন করতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ দিকে, জাপানের টোকিওতে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে ৩০ বছর বয়সী এক যুবতীও এই তথ্য দিয়েছেন।

মেহেরগুল তুরসুন নামের ওই উইঘুর নারী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। ২০১৭ সালে তিনি যখন ক্যাম্পে অন্তরীণ ছিলেন, তখন তাকে অজ্ঞাত ওষুধ ও ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মেহেরগুল বলেন, আমি সপ্তাহখানেক ধরে ক্লান্ত বোধ করেছি। স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছি এবং বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম। মানসিক রোগী হিসেবে শনাক্ত হলে চার মাস পর আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বন্ধ্যা হয়ে গেছেন।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ক্যাম্পগুলোতে ১০ লাখের মতো উইঘুর, কাজাখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘুকে জোরপূর্বক আটক রেখেছে চীন।

গবেষকদের দাবি, এসব স্থাপনা যুদ্ধকালীন বন্দিশিবিরের মতো। সাংস্কৃতিক গণহত্যা ও সামাজিক পরিবর্তনের জন্য পরিকল্পিত অভিযানের অংশ হিসেবে ডিটেনশন ক্যাম্পে লোকজনকে আটকে রাখা হয়েছে।

চীন সরকার এসব ক্যাম্পকে বোর্ডিং স্কুল হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। যেখানে আটকদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর নির্যাতনের খবরকে ভুয়া বলে উল্লেখ করছে দেশটি।

গত বছর জাতিসংঘ জানায়, উইঘুর মুসলিম গোষ্ঠীর ১০ লাখ মানুষকে আটক রেখেছে চীন।

ওডি/টিএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড