আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁসের দায়ে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএয়ের সাবেক কর্মকর্তা অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন এবার ফ্রান্সের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছেন। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। যদিও এর আগেও বেশ একবার ফ্রান্সে আশ্রয়ের জন্য আবেদনের রেকর্ড রয়েছে।
সিআইএয়ের সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে তিনি প্রিজম কর্মসূচির আওতায় ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, ইয়াহু, ইউটিউব এবং অ্যাপলসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়েই তাদের সার্ভারে সরাসরি প্রবেশ করেছিলেন। এমনকি তখন তিনি এসব সার্ভার থেকে আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসআই) ও ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য চুরি করেছিলেন। যা দেশটির আইন অনুযায়ী মারাত্মক অপরাধ।
মূলত সেসব মার্কিন নথি ফাঁস করার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে এডওয়ার্ডের ফ্রান্সের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। তিনি আশা করছিলেন, প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাকে দেশটিতে বসবাসের অনুমতি দেবেন। যা এখনো কার্যকর হয়নি।
এখন পর্যন্ত ১২টিরও বেশি দেশ তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। স্নোডেন বলেন, 'বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক; মার্কিন নথি ফাঁসকারীর কথা কেউই শুনবে না। যদি এটা রাশিয়ান হতো তাহলে সবাই শুনত।'
অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনের মতে, 'বর্তমান বিশ্বে তথ্য ফাঁসকারীদের রক্ষা করা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়। তাই যেকোনো দেশ চাইলেই আমাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারত। আমি এখনো আশা করছি, খুব শিগগিরই ফ্রান্স আমার সেই আবেদন মঞ্জুর করবে।'
এ নিয়ে বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করে সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন এই স্নোডেন। যার মাধ্যমে সামনে আসে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই তথ্য ফাঁসের সঙ্গে নিজ দেশের গোয়েন্দা নজরদারির ভয়াবহতা। মূলত সেই তথ্য ফাঁসের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন তিনি।
আরও পড়ুন :- সাজা শেষ হলেও কারাগারেই থাকছেন উইকিলিকসের অ্যাসাঞ্জ
অপর দিকে নিজের সাজার মেয়াদ শেষ হলেও আগামী বছর পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে আরেক মার্কিন গোপন দলিল ফাঁসের আলোচিত বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে। গত শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ওয়েস্ট মিনিস্টারের বিচারক তাকে আগামী বছর প্রত্যর্পণের ওই মামলার শুনানি শেষ হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড