আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত সপ্তাহে ভারতের আসাম রাজ্যে প্রকাশিত সংশোধিত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে প্রায় ১৯ লাখের বেশি বাঙালিকে। যদিও সদ্য প্রকাশিত এই তালিকার প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ চলছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল থেকে আসাম কোচ রাজবংশী সম্মিলনীর নেতৃত্বে বনধটি পালন করা হয়।
এ দিকে গোটা রাজ্যে এই বনধের ডাক দেওয়া হলেও ধারণা করা হচ্ছে, এর প্রভাব কেবল আসামের পশ্চিমাঞ্চলীয় ৫ থেকে ৬টি জেলাতেই পড়বে। তাছাড়া এ দিন সকাল থেকে রাজধানী গৌহাটিতে বনধের প্রভাব সেভাবে পড়েনি বলেও দাবি কর্তৃপক্ষের।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, গত সপ্তাহে আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে অন্তত ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ বাঙালিকে। যেখানে আগের তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দাকে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু। তাছাড়া এতে স্বীকৃতি মিলেছে প্রায় ৯ কোটি ১১ লাখ লোকের। যদিও এই তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নিয়ে এবার আসাম তো বটেই, গোটা ভারত এমনকি প্রতিবেশী বাংলাদেশ পর্যন্ত মোদী সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আসামের এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়াদের কাছে বাংলাদেশের কোনো নাগরিকত্ব নেই; এমনকি ভারত ছাড়া আর কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব নেই তাদের। এমন অবস্থায় ভারত তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিলে মানুষগুলো একদমই রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বে; যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ।
অপর দিকে নাগরিক পঞ্জি থেকে বহুসংখ্যক বাঙালি হিন্দুদের বাইরে রাখা নিয়ে এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বহু বিজেপি নেতা। আসামের শীর্ষ বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পরিষ্কার বলেছেন, 'আমি মনে করি না যে; এই নাগরিক পঞ্জি তৈরির মাধ্যমে সকল বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে সরানো যাবে।'
আরও পড়ুন :- কাশ্মীরি রেডিওতে বাজছে পাক সেনাদের পাঠানো সংকেত
যে কারণে ভারত অনেকটা বাধ্য হয়েই তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়াদের নিজ দেশের ভেতরেই বন্দি বানিয়ে রাখবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। যার অংশ হিসেবে আসামে এরই মধ্যে নতুন করে ১০টি বন্দি শিবির নির্মাণের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তাছাড়া অঞ্চলটিতে অতিরিক্ত ১৭ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড