• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কাশ্মীরে জঙ্গি ঢোকাচ্ছে পাকিস্তান, অভিযোগ ভারতের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৫
সীমান্তে জঙ্গি
সীমান্তে জঙ্গি। (ছবি : প্রতীকী)

ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ভূস্বর্গ খ্যাত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় অঞ্চলটিতে ইতোমধ্যে এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যা নিয়ে পরবর্তীতে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই এবার প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অঞ্চলটিতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর অভিযোগ তুলেছে ভারত।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাতে গণমাধ্যম 'এনডিটিভি' জানায়, সম্প্রতি উপত্যকাটি থেকে দুই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে আটকের পর ভারতের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলো। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত দুই জনই পাকপন্থি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাই পাকিস্তান আমাদের কাশ্মীরে জঙ্গি ঢোকানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলেই এরই মধ্যে ধারণা করা যাচ্ছে।'

এ দিকে বুধবার পাথরের আঘাতে আহত এক ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, তিনি গত ৬ আগস্ট বিক্ষোভ চলাকালে আহত হন। অঞ্চলটিতে গত ৩০ দিনে এ নিয়ে পাথরের আঘাতে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হলো। যদিও সেই মৃত্যুর জন্য কেবল পাকিস্তানকেই দায়ী করছে ভারত।

দেশটির সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিঁলো বলেছেন, 'এই মৃত্যুগুলো জঙ্গি, পাথরবাজ ও পাকিস্তানের পুতুলদের জন্য হয়েছে। এগুলোর পেছনে আমাদের কাশ্মীরিদের কোনো দায় নেই। সুযোগ পেলেই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীরা এখানে এসে তাদের উস্কে দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটায়।'

সীমান্তে জঙ্গি

সংবাদ সম্মেলন করছেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিঁলো। (ছবিসূত্র : দ্য হিন্দু)

এর আগে গত ২১ আগস্ট খলিল আহমেদ এবং মোজাম খোকা নামে দুইজনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। মূলত পাক-ভারত সীমান্তরেখার কাছ থেকেই তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দুজনকে পাক মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার সদস্য বলে দাবি করেছিল ভারতীয় সেনা ও পুলিশ বাহিনী। যার প্রেক্ষিতে তখন সেই দুজনের একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ভাইরাল করেছিল ভারত।

সেনা কর্মকর্তা কেজিএস ধিঁলো বলেন, 'আমাদের কাশ্মীরে সুযোগ মতো পাকিস্তান তাদের বেশি সংখ্যক জঙ্গি ঢুকিয়ে উপত্যকার শান্তিভঙ্গ করতে চাইছে। গত ২১ আগস্ট আমরা দুজন পাকিস্তানের অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছি, যারা লস্কর-ই-তৈয়্যবার সদস্য। এখন তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।'

অপর দিকে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।

এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে এবং পাক সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরান।

আরও পড়ুন :- কাশ্মীরে রিসোর্ট নির্মাণে জমি কিনছে সরকার

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারসহ রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানানো হলেও; কাশ্মীর জুড়ে এখনো সংঘর্ষ ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি পাকিস্তানের।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড