আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসলামিক প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে কার্যকর হওয়া একটি যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে বিশ্ব এক জটিল পরীক্ষার সম্মুখীন। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতিতে বিশ্বে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
চুক্তিটি কী করে?
ইরান সবসময়ই তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে জোর দিয়ে আসছে। তবে, পারমাণবিক বোমা বিকাশের জন্য শান্তিকে একটি কভার হিসেবে ব্যবহার করছে ইরান, এই সন্দেহে জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ২০১০ সাল থেকে দেশটিকে পঙ্গু করে দিতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মাত্র, চার বছর আগে ইরান তার ওপরের নিষেধাজ্ঞাকে শিথিল করতে পারমাণবিক কর্মকাণ্ডকে সীমাবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিতে ৬ মহাশক্তি- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি- এর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল।
ছবি : সংগৃহীত
এই চুক্তিটি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে সীমিত করেছিল, যা জ্বালানি চুল্লি তৈরিতে এবং পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণেও ব্যবহৃত হয়। ইরানের এমন একটি ভারী-জলের চুল্লি পুনরায় নকশা করাও প্রয়োজন ছিল, যার ব্যয়িত জ্বালানি বোমার উপযোগী প্লুটোনিয়াম ধারণ করতে পারে এবং তা একটি আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের প্রয়োজন হয়।
সর্বশেষ সঙ্কটের কারণ কী?
২০১৫ সালে বারাক ওবামার শাসনামলে করা চুক্তিটি থেকে ২০১৮ সালের মে মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয় এবং ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করে। ট্রাম্প একটি নতুন চুক্তি চান যা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক কোন্দলে জড়িতদেরও নিয়ন্ত্রণ করবে।
ইরান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং তার তেল ও আর্থিক খাতকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে মুদ্রাস্ফীতি হার বৃদ্ধি ও মুদ্রার মান তলিয়ে যাওয়া সম্মুখীন হয়। চলতি বছর মে মাসে ট্রাম্প যখন নিষেধাজ্ঞাগুলো কঠোর করে, ইরানও তখন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত কিছু প্রতিশ্রুতি স্থগিত করে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
ছবি : সংগৃহীত
ইরান কী করেছে?
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুতে ৩০০ কেজির মাইলফলক অতিক্রম করেছে বলে পহেলা জুলাই ইরানি মিডিয়া জানিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার প্রভাব থেকে নিজের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে ইরান ইইউ-কেও ৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। যদি তারা ব্যর্থ হয় তবে এটি অন্যান্য বিধিনিষেধগুলো পরিত্যাগ করা এবং এর ভারী-জ্বালানি চুল্লিটির পুনঃনকশা থামিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
তবে, ইউরোপীয়রা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, যদি এই চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা দ্বারা নিশ্চিত করা হয়, তবে এর অনেক পরিণতি হবে। তারা জাতিসংঘ এবং বহুপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞাগুলো দ্রুত 'স্ন্যাপ ব্যাক' করবে। বিবিসি নিউজ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড