আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উত্তর আফ্রিকার দেশ মিশরের উত্তরাঞ্চলীয় সিনাই প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১১ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। মিশরিয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিহত সকলেই স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা 'রয়টার্স' জানায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাতে প্রদেশটির রাজধানী আল-আইরিশ অঞ্চলে জঙ্গিদের আত্মগোপনে থাকার খবর পেয়ে অভিযানটি চালানো হয়। এতে ১১ জঙ্গিকে হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
ব্রিটিশ মিডিয়াটির দাবি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এবারের অভিযানটি পরিচালনার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্য হতাহত হয়েছেন কি-না সে ব্যাপারেও মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে কিছু জানায়নি।
দীর্ঘ দিন যাবত মিশর ইসলামী চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। এসব গোষ্ঠীগুলোর বিধ্বংসী সব হামলায় এখন পর্যন্ত সিনাই অঞ্চলের উত্তরাংশে শতাধিক সেনা, পুলিশ ও সাধারণ বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে প্রায় কয়েক হাজারের বেশি হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে চলতি বছরের এপ্রিলে 'রয়টার্সে'র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এগুলোকে কেবলই বন্দুকযুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও ভুক্তভোগীদের পরিবার ঘটনাগুলোকে সম্পূর্ণ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছে।
এ দিকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মিশরের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছে। যার মধ্যে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও বেসামরিকদের নির্যাতনের মাধ্যমে সামরিক আদালতের সম্মুখীন করার অভিযোগ অন্যতম।
আরও পড়ুন :- ইরানের সঙ্গে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারীর সন্ধানে সৌদি
অপর দিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির দাবি, 'মানবাধিকারের বিষয়টি স্থানীয় আঞ্চলিক অস্থিরতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সাপেক্ষে বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে ২০১১ সালের পর থেকে মিশরে সৃষ্ট অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আগামীতেও এসব অভিযান অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।'
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড