আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আকস্মিক ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ডুবে গেছে ভারতের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি রাজ্য। এতে ভেসে গেছে বহু স্থানের ফ্লাইওভার, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানির তোড়ে অনেক মহাসড়ক এরই মধ্যে ভাঙতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় নিহতের সংখ্যা একশো ছাড়ানোর পর উদ্ধার কাজে মাঠে নেমেছেন ভারতীয় সেনা, বিমান এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, অধিক মাত্রায় বৃষ্টির কারণেই এই বন্যা হয়েছে। যে কারণে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক এবং কেরালা রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা অবনতির দিকে যাচ্ছে। যদিও রবিবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমে যাবে বলে অনুমান তাদের।
কেরালায় এই বন্যার পানির উচ্চতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, যে কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ৬০ জনের মতো লোকের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিণারায়ি ভিজায়ান এক টুইট বার্তায় দুঃখ জানিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাছাড়া কর্ণাটকে মারা গেছেন আরও ২৬ জন। যে কারণে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বি.এস. ইয়াদুরাপ্পা ঘটনাটিকে গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে এরই মধ্যে আখ্যায়িত করেছেন। অপর দিকে মহারাষ্ট্রে বন্যায় আরও ২৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
যদিও বেসরকারি হিসেবে রাজ্য দুটিতে মোট প্রাণহানি ইতোমধ্যে ১শ ১৩ জনে পৌঁছেছে বলে দাবি গণমাধ্যমের। আজ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দুর্গত অঞ্চলের ওপর দিয়ে হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা প্রত্যক্ষ করবেন।
এ দিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, রাজ্যগুলোর লাখ লাখ হেক্টর ফসলি জমি এরই মধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যে কারণে অসংখ্য ফসল- ফলমূল ও শাকসবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী দুর্গত অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ২ হাজার দুই শতাধিক লোককে ইতোমধ্যে উদ্ধার করে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। গত শনিবার (১০ আগস্ট) বাহিনীটির এক আনুষ্ঠানিক টুইট বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
টুইট বার্তায় বলা হয়, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দলের সদস্যরা মহারাষ্ট্রের দুর্গত অঞ্চলগুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। যার অংশ হিসেবে কেরালার প্রশাসন লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন :- কাশ্মীরে আবারও কারফিউ, জনশূন্য পথঘাট
অপর দিকে শনিবার থেকেই রাজ্যটির কোচি বিমানবন্দরকে ফের চালু করার কথা ছিল। যা শুক্রবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়; যা এখনো চালু করা হয়নি।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড