• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মরে গেলেন ঐতিহাসিক 'বেইজিং এর কসাই' লি পেং

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০১৯, ১৯:৪৫
তিয়েন আনমেন স্কয়ার
চীনের সমাজতান্ত্রিক ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন লি পেং। ছবি : সংগৃহীত

চীনের তিয়েন আনমেন স্কয়ারে শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময়কার চীনা শাসক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি পেং মারা গেছেন। তিয়েন আনমেনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সামরিক শাসনের আদেশ দিয়ে 'বেইজিং এর কসাই' হিসেবে পরিচিতি পান। সোমবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় বেইজিং এর একটি হাসপাতালে ৯০ বছর বয়সে লি অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ঘোষণা করেছে।

তিনি ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে চীনে বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় পদে চাকরি করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে চীনের গণতন্ত্রের সমর্থণে বিক্ষোভ করা হাজার হাজার চীনা শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির তিয়েন আনমেন স্কয়ারে সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন লি। সমাজতান্ত্রিক দেশটির সৈন্যরা সে সময়ে শত শত নিরস্ত্র নাগরিককে হত্যা করেছিল।

জনাব লি অবশ্য পরে তার এই পদক্ষেপকে একটি 'প্রয়োজনীয়' পদক্ষেপ হিসাবেই বর্ণনা করেছিলেন। তার মৃত্যুর মধ্যেই চীনের সরকারী সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া বলছে, জনাব লি তিয়েন আনমেনের 'অস্থিরতা এবং বিপ্লবী সহিংসতা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত' হিসেবে ঐ নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

গত তিন দশক ধরেই চীন ক্রমাগত সেই গণহত্যার ঘটনা লুকিয়ে আসছে এবং সেই আন্দোলনের মধ্যে সংঘটিত যে কোনও নির্যাতনের কথাও এড়িয়ে গেছে। সেই বিক্ষোভকারী নেতাদের মধ্যে একজন, উয়ের কাইক্সি, যিনি বর্তমানে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন, লি-এর মৃত্যুতে তিনি আনন্দিত বলে বিবিসিকে জানান।

১৯৮৯ সালের জুনে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছিল তারা এখনও বিচারের অপেক্ষায় আছেন বলে কাইক্সি জানান। তিনি বলেন, '৪ঠা জুনের সেই গণহত্যার কসাই ছিলেন লি পেং, বিশ্বকে এবং ইতিহাসের এভাবেই তাকে মনে রাখা উচিৎ। সৌভাগ্যবশত কোন একদিন চীনের পাঠ্যবইতেও তাকে এভাবে উল্লেখ করা হবে।'

ছবি : সংগৃহীত

১৯৮৯ সালে কি ঘটেছিল?

১৯৮৯ সালের এপ্রিলে গণতন্ত্রকামী চীনা শিক্ষার্থীরা বেইজিং এর তিয়েন আনমেন স্কয়ার দখল করে নেয় এবং চীনের সমাজতান্ত্রিক ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক বিক্ষোভের শুরু করে। যা প্রায় ছয় সপ্তাহ স্থায়ী ছিল। তেসোরা জুন রাতে আকস্মিক ট্যাংক এসে হাজির হয় বিক্ষোভ এলাকায়, এবং তিয়েন আনমেন স্কয়ারের আশেপাশের নিরস্ত্র শিক্ষার্থী-বেসামরিকের ওপর গুলি শুরু করে। স্কয়ারে গুলিবিদ্ধ কারও মৃত্যু হয়নি বলে কর্তৃপক্ষ পরে জানায়।

চীন কখনই সেই দিনের হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি। এমনকি ঠিক কতজন আহত হয়েছিল তার ও কোন সংখ্যা প্রকাশিত হয়নি। অনুমান শুরু হয়ে শত শত থেকে, যা মানবাধিকার সংস্থা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতো কয়েক হাজার ও ছাড়িয়ে যেতে পারে। 'বিবিসি'

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড