আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রতি লিটার নকল দুধ তৈরিতে ৩০ শতাংশ দুধ, পরিশোধিত তেল, তরল ডিটারজেন্ট, সাদা রং ও গ্লুকোজ পাউডার মেশানো হয়। একই পদ্ধতিতে নকল পনির কিংবা এ জাতীয় খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়। এগুলো বড় বড় মার্কেটগুলোতে সরবরাহ হয়ে আসছে।
এভাবে নকল দুধ তৈরি করে আসছে তিনটি কারখানা। কারখানা তিনটিতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টানা কাজ চলে। প্রতিদিন তারা প্রায় ২ লাখ লিটার নকল দুধ উৎপাদন করে আসছে। প্রতি লিটার নকল দুধ তৈরিতে সর্বমোট খরচ পড়ে প্রায় ৬ টাকা। বাজারে বিক্রি করা হয় প্রায় ৬১ টাকা। নকল পনিরের দাম রাখা হয় প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১৭০ টাকা। এ হিসেবে ২ লাখ লিটার নকল দুধ তৈরিতে খরচ পড়ে ১২ লাখ টাকা, বিক্রি হয় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা, লাভ থাকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিনই কোটিপতি!
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এসব নকল দুধ উৎপাদনের দায়ে ভারতে অন্তত ৫৭ জনকে আটক করেছে পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। শুক্রবার (১৯ জুলাই) মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়ার-চাম্বাল এলাকার ওই তিন নকল দুধের কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশের বরাতে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, তিনটি কারখানায় তৈরি ক্ষতিকর নকল দুধ দেশটির ৬টি রাজ্য- মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে সরবরাহ করা হতো।
এসটিএফ পুলিশ সুপার রাজেশ ভাদোরিয়া বলেন, অভিযানে ১০ হাজার লিটার নকল দুধ, ৫০০ কেজি নকল মাওয়া (দুগ্ধজাত পণ্য) ও ২০০ কেজি নকল পনির জব্দ করা হয়েছে। ২০টি ট্যাংকার ও ১১টি পিকআপভর্তি এসব নকল দুধ ও পণ্য জব্দ করা হয়।
এ সময় ওই সব কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ তরল ডিটারজেন্ট, পরিশোধিত তেল ও গ্লুকোজ পাউডার উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পুলিশের বেশকিছু কর্মকর্তাও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের চিহ্নিত করে শিগগিরই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড