• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইরানের সঙ্গে নিঃশর্ত সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্র : মাইক পম্পেও

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৮
মাইক পম্পেও
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। (ছবিসূত্র : সিএনএন)

ওয়াশিংটন কোনো ধরনের 'পূর্বশর্ত' ছাড়াই তেহরানের সঙ্গে সংলাপে বসতে আগ্রহী বলে মনে করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। শুক্রবার (১৯ জুলাই) দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল 'ইডাব্লিউটিএন'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানকে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অঞ্চলটিতে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করে পম্পেও বলেন, 'মার্কিন প্রশাসন কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের তৎপরতা ইস্যুতে আলোচনা করতে চায়।'

বিশ্লেষকদের মতে, পম্পেও এমন একটি সময় এই 'নিঃশর্ত' আলোচনার কথা বললেন; যখন তিনি নিজেই আগে থেকে আলোচনার সকল বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

এর আগে গত বুধবারও (১৭ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরানের বিরুদ্ধে নিজের কাল্পনিক অভিযোগগুলোর পুনরাবৃত্তি করে তাদের সঙ্গে 'নিঃশর্ত' আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।

এ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা গত কয়েক মাস যাবত অসংখ্যবার ইরান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তারা এমন সময় নিজেদের এ আগ্রহের কথা জানালেন; যখন ট্রাম্প প্রশাসন গত বছর ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে তেহরানের তেল বিক্রির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছেন।

যদিও মধ্যপ্রাচ্যের ইরানপন্থি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তেহরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিতে গিয়ে দেশটির পাল্টা পদক্ষেপে ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে। মূলত সে কারণেই এবার ওয়াশিংটন তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

অপর দিকে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথিত আলোচনা প্রসঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি এরই মধ্যে তার দেশের শক্ত অবস্থানের কথা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন। গত ২৬ জুন দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, 'ইরানের সামরিক শক্তি খর্ব করতে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়।'

খোমেনি আরও বলেন, 'ইরানের সামরিক শক্তিমত্তায় ভীত হয়ে হামলা করতে না পেরে তারা এখন এই শক্তিমত্তা খর্ব করতে চায় যাতে পরবর্তীতে শক্তিহীন ইরানের সঙ্গে যেমন খুশি তেমন আচরণ করতে পারে।'

এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কমানোর জন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয় দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। যেখানে শর্ত ছিল ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনবে, যার বিনিময়ে তাদের উপর আরোপিত সকল অবরোধ ক্রমশ তুলে নেওয়া হবে। এতে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি।

আরও পড়ুন :- মার্কিন মুদ্রা বয়কট চায় হামাস

পরবর্তীতে গত বছরের ৮ মে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে একে একটি অকার্যকর চুক্তি বলে মন্তব্য করেন। যার প্রেক্ষিতে তিনি তেহরানের তেল বিক্রিতে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন; যা এখনো অব্যাহত আছে। একইসঙ্গে ট্রাম্প এসব নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিও নিজেদের চাপ অব্যাহত রেখেছেন।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড