• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বন্যায় শোবার ঘরে ঢুকে বাঘের ১০ ঘণ্টা ঘুম!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯ জুলাই ২০১৯, ১৭:১৭
আসামের বাঘ
ছবি : সংগৃহীত

ভারী বর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে লোকালয়ে ঢুকে এক বাড়ির শোবার ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে এক বাঘিনী। ভারতের বন্যা-বিধ্বস্ত রাজ্য আসামের একটি বন্যপ্রাণী পার্ক থেকে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দার ঘরের ভেতর যেয়ে একটি বিছানায় ঝিমিয়ে পড়েছিল বাঘটি।

আসামের কাজিরঙ্গা জাতীয় উদ্যান থেকে বাঘটি পালিয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে সাম্প্রতিক ভারী বন্যায় ৯২টি প্রাণী মারা গেছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছেন এবং বাঘিনীটিকে পালাবার জন্য একটি নিরাপদ পথ তৈরি করে দিয়েছেন। তাকে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছিল।

বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (ডাব্লুটিআই) অনুসারে, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে বাঘটিকে প্রথম একটি মহাসড়কের পাশে দেখা গিয়েছিল, যা কাজিরঙ্গা জাতীয় উদ্যান থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত। সড়কের ব্যস্ত অবস্থায় বিরক্ত হয়েই সরাসরি এক বাড়িতে ঢুকে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যে বাড়িটি মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত।

উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া রথিন বর্মন বিবিসিকে জানান, বাঘটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘরটিতে প্রবেশ করে, যা একটি দোকানের পরেই অবস্থিত। সেই বাড়ির শোওয়ার ঘরেই সারাদিন ঘুমিয়ে কাটায় বাঘটি। খুব ক্লান্ত থাকায় দিনভর দীর্ঘ এক ঘুম দিয়েছিল সে।'

বাঘটিকে হেঁটে আসতে দেখা মাত্রই দোকান ও বাড়ির মালিক মতিলাল ও তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুতই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মতিলাল বলেন, 'বড় জিনিস হলো এখানে কেউই তাকে (বাঘ) বিরক্ত করেনি, যাতে সে বিশ্রাম নিতে পারে। এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণীদের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা আছে।'

মতিলাল আরও জানায়, তিনি বেড শিট এবং বালিশ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন যাতে বাঘটি বিশ্রাম নিয়েছে'। পরে ডব্লিউটিআই কর্মকর্তাদের ডাকা হয় যাতে তার জন্য একটি নিরাপদ পালাবার পথ প্রস্তুত করা যায়।

ছবি : সংগৃহীত

তারা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মহাসড়কের ট্রাফিক অবরোধ করে রাখে এবং প্রাণীটিকে জাগানোর জন্য বাজি ফুটানো হয়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাঘটি বাড়ি ছেড়ে, মহাসড়ক পার হয়ে বনের দিকে চলে যায়।

বাঘটি আসলেই বনের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন কি না, বা সেটি 'আশেপাশের এলাকায় চলে গিয়েছিল' তা এখনো পরিষ্কার না।

ইউনেস্কো-স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কাজিরঙ্গা জাতীয় উদ্যান ১১০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বাস, যাদের কেউই এখনো মারা যায় নি। সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণে পার্কটির ৫৪টি হগ হরিণ, সাতটি রিনো, ছয়টি বন্য শুকর এবং একটি হাতি মারা গিয়েছে।

মৌসুমী বন্যায় ভারতের বিহার ও আসামের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এক ধ্বংসলীলা হয়ে গেছে, যাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ লোক স্থানান্তরিত হয়েছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতি মৌসুমী ঋতুতে নেপাল ও বাংলাদেশেও বিপর্যয় নেমে এসেছে। 'বিবিসি নিউজ'

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড