• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গুপ্তচর কাণ্ডে পাক-ভারত উত্তেজনা এখন আন্তর্জাতিক আদালতে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ জুলাই ২০১৯, ১২:০৭
কুলভুশন জাদভ
অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌ-কর্মকর্তা ও অভিযুক্ত গুপ্তচর কুলভুশন জাদভ। ছবি : সংগৃহীত

একটি বিতর্কিত মামলায় ভারতের এক অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। তাকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে ভারত, আর কিছুক্ষণ পর মামলার শুনানি হবে। ভারত গুপ্তচরবৃত্তির কথা অস্বীকার করেছে।

অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা কুলভুশন জাদভের গুপ্তচরবৃত্তির কথা অস্বীকার করেছে ভারত! ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) কাছে ভারত দাবি করে যে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে জাদভের সঙ্গে কূটনৈতিকদের সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না। আইসিজের বিধান বাধ্যতামূলক কিন্তু তা কার্যকর করার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। এই রায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিতর্কিত অঞ্চল কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। দিল্লী ও ইসলামাবাদের মধ্যে কূটনৈতিক শত্রুতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। একে অন্যের দেশে গুপ্তচর পাঠানোর অভিযোগও আনছে প্রতিনিয়ত।

২০১৬ সালের মার্চে গ্রেফতার হওয়ার পর কুলভুশন জাদভের মামলাটি নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে একটি মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের বিদ্রোহী অধ্যুষিত সংরক্ষিত এলাকা থেকে জাদভকে আটক করার দাবি করে পাকিস্তান। এই অঞ্চলটিতে বিদ্রোহ ছড়ানোর জন্য ইসলামাবাদ ভারতকে দায়ী করে আসছে। বেলুচিস্তান প্রদেশটি ইরান সীমান্তে অবস্থিত। ইরানে কারবার করতে গেলে পাকিস্তান জাদভকে আটক করে বলে ভারতের দাবি।

গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুদিন পরেই ইসলামাবাদ একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে জাদভকে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করতে দেখা যায়। ভারত সর্বদা এমন অভিযোগ স্বীকার করে আসছে এবং বলেছে, কারাগারে আটক রেখে জোরপূর্বক এমন স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের এপ্রিল জাদভকে পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালতে গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসবাদে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং এর ফলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে পাকিস্তান জানায়। এরপর ভারত আইসিজের কাছে একটি মামলা দায়ের করে। আইসিজে মামলা চলাকালীন এবং কোনো রায় না হওয়া পর্যন্ত তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেয়।

পাকিস্তান জাভাদের প্রবেশাধিকার অস্বীকার করে কনস্যুলার রিলেশনে ভিয়েনা কনভেনশনটি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান বলেছে , জাদভ কোনো ধরনের কূটনৈতিক প্রবেশাধিকারের অধিকারী নয়, কারণ সে একজন গুপ্তচর এবং 'বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা' সৃষ্টি করতে অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে জাতিসংঘের সদস্য দেশের মধ্যে বিরোধের অবসান ঘটানোর জন্য ১৯৪৫ সালে আইসিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত করায় ইসলামাবাদে বিক্ষোভ শুরু হলে আইসিজের শরণাপন্ন হয় দেশ দুটি। সেই বিমান বিধ্বস্তে ১৬ জন নিহত হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড