• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইসলামবিদ্বেষী বরিস জনসন, উদ্বিগ্ন ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়

'পশ্চিমা থেকে মুসলিম বিশ্ব শত শত বছর পিছিয়ে থাকায় দায়ী ইসলাম'!

  এস এম সোহাগ

১৬ জুলাই ২০১৯, ১৯:৪৭
বরিস জনসন
পশ্চিমা বিশ্ব থেকে মুসলিম বিশ্ব শত শত বছর পিছিয়ে থাকা এবং এজন্য ইসলামকে দায়ী করা বরিসের অন্ধতা। ছবি : সংগৃহীত

আধুনিক বিশ্বে সংঘর্ষের নামে ইসলামবিদ্বেষের ব্যবহার যেখানে এক বৈশ্বিক উদ্বেগ হয়ে প্রতীয়মান হচ্ছে, সেখানে এমন সময়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকা বরিস জনসন ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন। এমন দৃষ্টিভঙ্গিকে দৃঢ়ভাবে সমালোচনা করে অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞানের স্বল্পতাকে দোষারোপ করছেন। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে শত শত বছর মুসলিম বিশ্ব পিছিয়ে রয়েছে এবং এই পিছিয়ে পড়ার পেছনে ইসলামকে দায়ী করে ২০০৬ সালের এক প্রবন্ধে মন্তব্য করেন বরিস জনসন। সম্প্রতি এই তথ্য দা গার্ডিয়ান কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়েছে।

রোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে বরিসের ২০০৬ সালে লেখা দা ড্রিম অফ রোম বইয়ের ২০০৭ সালের এক সংস্করণে ধর্ম সম্পর্কিত উত্থান সম্পর্কে লেখা যুক্ত করেন বরিস জনসন। সেখানে তিনি ইসলাম সম্পর্কে বলেন, ইসলামে এমন কিছু ছিল যা পৃথিবীর কিছু অংশের বিকাশে বাধা দিয়েছে এবং ফলস্বরূপ, প্রায় প্রতিটি দ্বন্দ্বের পেছনেই 'মুসলিম বিক্ষোভ' একটি ফ্যাক্টর ছিল।

জনসনের এমন যুক্তিকে বিশৃঙ্খলা ও সমস্যা সৃষ্টিকারী বলে মুসলিমবিদ্বেষ বা মুসলিম ঘৃণা পর্যবেক্ষণকারী তেল মামা জানায়। ইসলাম সম্পর্কে ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবেই বরিস এমন মন্তব্য করেছে বলে সংগঠনটির দাবি। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জনপ্রিয় এই নেতা এখনও 'প্রগতিশীলতা এবং অগ্রগতির পথে ইসলামকে বাধা' হিসেবে বিশ্বাস করেন কি না সেই প্রশ্ন করেছে ব্রিটেনের মুসলিম পরিষদ (এমসিবি)।

বরাবরই ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের জন্য সমালোচিত হয়েছেন বরিস। ইসলামের বিরুদ্ধে এমন উগ্র আচরণকে অনেকে উগ্রতা এবং মুর্খামি বলেই বিবেচনা করেছেন। ব্রিটিশ এই নেতা সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের একটি ই-মেইল ফাঁস হওয়া কাণ্ডেও সমালোচিত হয়েছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বরিস জনসন। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন দাস হিসেবেও কনজারভেটিভ এই নেতাকে এক হাত নিয়েছেন অনেক ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা। যুক্তরাজ্যের অন্যতম সফল কূটনৈতিক স্যার কিম ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাঠানো একটি ই-মেইলে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেন, যা ফাঁস হয়ে গেলে ট্রাম্পের রোষাণলে পড়ে যায় রাষ্ট্রদূত। যাচ্ছেতাইভাবে ব্রিটিশ প্রভাবশালী কূটনৈতিকের সমালোচনা করলে থেরেসা সরকার তার পাশে দাঁড়ায়। সবাই যেখানে দূতের পক্ষে ছিলেন, একা বরিস সেখানে নির্লজ্জের মতো ট্রাম্পের তোষামুদি করে হয়েছেন নিন্দিত।

বরিসের প্রবন্ধ থেকে এই মন্তব্য আবিষ্কার করে মঙ্গলবার দা গার্ডিয়ান বরিসকে উদ্ধৃত করে বলেন, 'ইসলামের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা প্রকৃতপক্ষে মুসলিম বিশ্বে কোনো ধরনের বুর্জোয়া শ্রেণির উত্থান, উদার পুঁজিবাদ এবং এমন কী গণতন্ত্র ছড়িয়ে না পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করবে'।

গত বছর জনসন টেলিগ্রাফে লেখা এক কলামে বোরখা পরিহিতা মুসলিম নারীদের 'চিঠির বাক্স' এবং 'ব্যাংক ডাকাতদের' সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। যুক্তরাজ্যের কনজার্ভেটিভ দলের এই রাজনীতিবিদ ২০০৭ সালে ধর্মের উত্থানকে মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়নে প্রতিবন্ধক হিসেবে দাবি করেছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসনের এমন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। অনেকেই সেখানে জনসনকে সম্পূর্ণ মূর্খ বলেও মন্তব্য করেছেন। লন্ডনের সাবেক এই মেয়রকে উদ্দেশ্য করে এক ব্যক্তি টুইটে শত বছর পিঁছিয়ে থাকা সম্পর্কে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা জানতে চান। অনেকে আবার বরিসকে এজন্য ট্রাম্পের মতো বর্ণবাদী হিসেবেও তুলনা করেছেন।

কে এই বরিস জনসন?

ব্রেক্সিট কাণ্ডে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগ করার পর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের প্রধানই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এখন পর্যন্ত বরিসই দলটির প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন।

ছবি : সংগৃহীত

বরিস জনসন প্রথমদিকে একজন সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, ছিলেন লন্ডনের মেয়রও। সর্বশেষ তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দা গার্ডিয়ান সপ্তাহব্যাপী বরিসকে নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। সমসাময়িক সময়ে বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাজনৈতিকের মতাদর্শ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং মূল্যবোধে জ্যোতি ছড়াতেই পত্রিকাটি এবার তার ইসলামবিদ্বেষী মানসিকতাকে সামনে এনেছে।

বরিস তার সেই প্রবন্ধে বলেন, 'রোমান/কনস্ট্যান্টিনোপল সাম্রাজ্যের অধীনে, কনস্ট্যান্টিনোপল শহরে হাজার বছরের শেখার আলো জ্বালিয়ে রেখেছিল। এবং এরপরে অটোমান শাসনের অধীনে প্রথম মুদ্রণযন্ত্রটিও উনিশ শতকের মাঝামাঝির আগ পর্যন্ত ইস্তানবুলে দেখা যায়নি। কিছু একটা আক্ষরিক অর্থেই তাদের শত শত বছরে পেছনে ফেলে দিয়েছিল।'

কনজারভেটিভ নেতৃত্বের এই অগ্রণী লিখেছেন যে, 'এক মারাত্মক ধর্মীয় রক্ষণশীলতা' অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধক। মুসলিম বিশ্ব যতটা পেছনে পড়েছে ততবেশি তিক্ততা এবং সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় বসনিয়া থেকে ফিলিস্তিন, ইরাক থেকে কাশ্মিরসহ বিশ্বের প্রতিটা প্রান্তের দ্বন্দ্বের পেছনেই মুসলিম ক্ষোভের সম্পৃক্ত থাকার ধারণা পাওয়া যায়।'

এ দিকে এমসিবি বলছে, 'মুসলিম বিশ্বের অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা অবশ্যই স্বীকার করি, তবে তা কিন্তু হতে পারে এই পশ্চিমে আমাদের এলাকাও।

ছবি : সংগৃহীত

জনসনের বিশ্লেষণকে 'সক্রিয়ভাবে মুসলিমবিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়ার' ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে কনজারভেটিভ মুসলিম ফোরামের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মেদ আমিন জানান। গত জুন মাসে ইসলামফোবিয়ার প্রতিবেদন সম্পর্কে দলীয় প্রতিক্রিয়ার সমালোচনায় আমিন ১৯৩০ এর দশকে হিটলারের জনপ্রিয়তার সঙ্গে জনসনের জনপ্রিয়তার তুলনা করে ফোরাম থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।

একটি ধারাবাহিক টিভি সিরিজ প্রকাশের পর একই নামের বইটিতে, জনসন সে সময়ে ইইউতে ঐক্য গড়ে তোলার অভাবনীয় সক্ষমতার কথা বলে রোমান সাম্রাজ্যের প্রশংসা করেন। ইইউতে যোগদানের জন্য তুরস্কের সাথে আলোচনা চলাকালীন জনসন এই বইটি প্রকাশ করেছিলেন। আঙ্কারাকে সদস্য হওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত বলে তখন তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন।

জনসন বলেছিলেন, 'আবার একটি রোমান অর্থনৈতিক সম্প্রদায়' তৈরি করা এবং 'ভূমধ্যসাগরের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের দুইটি অংশকে পুনর্মিলিত করতে' ইইউ-তে তুরস্ককে যুক্ত করা উচিত।

ছবি : দা গার্ডিয়ান

মুসলিম অধ্যুষিত ইউরেশিয়ান দেশ তুরস্কের ইইউ-তে যোগদান বিষয়ে জনসন বলেন, 'মানবাধিকারের রেকর্ডে দেশটি যোগ্যতার থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে, যা তুর্কিদের ইইউ সদস্যভুক্ত করা থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তুরস্কের প্রগতিশীল বাহিনীকে আমরা নিশ্চিতভাবে সাহায্য করব এবং পিছিয়ে পড়ায় বাধা দিব।'

এদিকে এমসিবি বলছে, 'ইসলাম স্বাভাবিকভাবেই অগ্রগতি ও স্বাধীনতার পথকে বাধা দেয় এমনকিছুতে জনসন এখনও বিশ্বাসী কি না তা আমাদের অনেকেই জানতে আগ্রহী। ব্রেক্সিট প্রচারাভিযানের সময় তুর্কি ও মুসলিম অভিবাসীদের নিয়ে অসাধারণ মিথ্যা অভিযোগের পরেও তুরস্ক ইইউতে যুক্ত হতে চাইবে বলে তিনি কী এখনও মনে করেন।'

যুক্তরাজ্যের 'অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন' বন্ধ করার অনুমোদন পেতে ইউরোপ ত্যাগের একটি ভোটের পক্ষে ব্রেক্সিট প্রচারাভিযান চলাকালে জনসন যুক্তি দিয়েছিলেন। ইউরোপ ত্যাগের একজন ফিগারহেড হিসেবে প্রচারাভিযান চলাকালে তিনি একটি বিতর্কিত পোস্টার জারি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘকাল ধরে স্থগিত থাকার পরেও পোস্টারে দাবি করা হয় যে, তুরস্ক ইইউতে যোগ দিচ্ছে।

খ্রিস্টানদের 'ঘৃণ্য নির্মম' ইতিহাসের কথাও প্রবন্ধে স্বীকার করেন জনসন। তিনি লিখেছেন, 'এটা খুব বেশি আগের কথা নয় যখন আমরা বই জ্বালিয়ে দিয়েছি এবং নিজেদের ধর্মদ্রোহী করেছি।'

বিক্রি বাড়াতে 'ইসলাম-আতঙ্ক'কে শিরোনাম করার ব্যাপারে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের মানসিকতার সঙ্গে 'রাজনীতিবিদদের মধ্যে ভোটের ক্ষুধার' মিল রয়েছে বলে সমালোচনা করেন জনসন। তিনি বলেন, 'এই মুসলিমরা কোনো এলিয়েন প্রজাতির নয়।'

উইন্সটন চার্চিল। ছবি : সংগৃহীত

তিনি জানান তার দাদা ছিলেন তুর্কি রাজনীতিবিদ আলী কেমাল, যিনি একজন মুসলিম ছিলেন। তাই তিনি ইসলাম নিয়ে উইন্সটন চার্চিলের দাবিকে উদ্ধৃত করে ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে সমালোচিত হবেন না বলেই আশা করেছিলেন। 'বিশ্বে ইসলামের চেয়ে শক্তিশালী অধঃপতনশীল কোনো বাহিনী নেই' বলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল দাবি করেছিলেন। জনসন লিখেছেন, 'ইসলামী বিশ্বের প্রকৃত সমস্যা যে ইসলাম, তা নিয়ে উইন্সটন চার্চিল থেকে শুরু করে পোপের দাবির ব্যাপারে গভীরে গিয়ে পরীক্ষা করা করা এখনই সময়। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিণতি সম্পর্কে চার্চিলের বিশ্লেষণে সত্য যে একটি শস্যের চেয়েও বেশি কিছু তা আমাদের অবশ্যই সততার সঙ্গে স্বীকার করা উচিত।'

ভ্যাটিকানের স্টিস্টাইন চ্যাপেলের সৌন্দর্য বর্ণনা করার পর জনসন লিখেছিলেন : 'ইসলামে কোনো যুগেই এমন কোনো শিল্প ছিল না, দেখাও যাবে না। ইসলামের শৈল্পিক কারিগরি ক্ষেত্রে এমন দক্ষতার অভাবেই যে ইসলামে এমন কিছু সম্ভব না তা নয়, আসল কারণ হলো ইসলামে এমন কিছুকে ধর্মতাত্ত্বিকভাবে আপত্তিকর হিসেবে দেখা হয়।'

তেল মামা বলছে, এই প্রবন্ধটি মুসলমানদের 'একটি তরঙ্গ বা বড় দলের মত চিত্রিত করেছে ... যারা রোমের মতো সভ্যতাগুলো লিপিবদ্ধতা এবং উত্তরাধিকারের জন্য খুব সামান্যই সময় পেয়েছে।'

ছবি : সংগৃহীত

জনসনের ব্যবহৃত এই শব্দগুলো মুসলমানদের ওপর 'মানসিকভাবে ইসলামে সীমাবদ্ধ' হওয়ার ছাপ ফেলেছে। জীবনের প্রতি ভালোবাসা ও সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা সবচেয়ে সুন্দর কিছু শিল্পকর্ম রয়েছে যা সৃষ্টিতে মানুষ ইসলাম থেকেই উৎসাহ পেয়েছে। অর্থাৎ, ইসলামকে যারা এমন বলছেন তাদের প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের স্বল্পতা রয়েছে বলে সংগঠনটি দাবি করেছে।

জনসন ভবিষ্যতে সব সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করবে বলে ব্রিটিশভিত্তিক সংগঠনটি সহযোগিতার মাধ্যমে একযোগে কাজ করার আশা করছে। জনসনের ক্যাম্পেইনে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পায়নি গার্ডিয়ান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড