• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কংগ্রেসওম্যানদের নিজ দেশে ফিরতে বললেন বর্ণবাদী ট্রাম্প

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ জুলাই ২০১৯, ১৫:১৬
ট্রাম্প
ছবি : সংগৃহীত

ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওমেনদের একটি দলকে লক্ষ্য করে টুইটারে একাধিক বর্ণবাদী মন্তব্য করায় সমালোচিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অমার্কিন কংগ্রেসওমেনদের ওই দলের বেশিরভাগই আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী, তাদেরকে নিজ দেশে ফিরে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, 'যেখান থেকে আমেরিকায় এসেছেন তা সম্পূর্ণভাবে ভগ্ন ও অপরাধযুক্ত স্থান, সেখানে ফিরে গিয়ে তা ঠিক করতে সহায়তা করুন'। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন এক দেশ, যেখানে জনসংখ্যার অধগিকাংশই জন্মসূত্রে আমেরিকান। যাদের পূর্বপুরুষের বাস বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। শরণার্থী কিংবা অভিবাসনের মাধ্যমে নাগরিক হওয়াতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে শীর্ষ এক দেশ। শুধু নাগরিকত্ব ই নয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া ব্যাক্তিও রয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এমন একজন।

বর্তমানে দেশটিতে একদল নারী কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যারা ট্রাম্পের মার্কিন বহুত্ববাদী সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধংস করার বিরোধি। ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হিসেবেও তারা বেশ পরিচিত। ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যানদের যে দলটিকে লক্ষ্য করে এই মন্তব্যগুলো করেছেন, যারা ট্রাম্পের সমালোচক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন, তাদের ভেতর দুজন মুসলিম নারী নেতৃত্ব রয়েছেন।

টুইটারে ৩ মন্তব্যের এক সিরিজে ট্রাম্প কারও নাম উল্লেখ করেনি। দলটির কংগ্রেস সদস্যদের পূর্বপুরুষদের দেশগুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত নয়তো বিপর্যস্ত। একটি টুইটে ট্রাম্প বলেন, 'প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যানরা যে দেশ থেকে এসেছেন তাদের সরকার পরিপূর্ণভাবে বিপর্যস্ত, ভয়ংকর অবস্থায় থেকে মার্কিন নাগরিকদের বলছেন, কীভাবে আমাদের সরকার চালানো উচিৎ। এটা মজাদার।'

নিউইয়র্কের কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ, মিনেসোটার ইলহান ওমর, ম্যাসাচুসেটসের আয়াননা প্রেসলি এবং মিশিগানের রাশিদা তালিব সমন্বিত দলটি 'দা স্কোয়াড' নামে পরিচিত। ওমর বাদে এদের সবার জন্ম আমেরিকায়, ওমরের পরিবার ১৯৯৭ সালে সোমালিয়া সোমালিয়া ছেড়ে শরণার্থী হিসাবে মিন্নেপলিসে চলে যায়।

ন্যান্সি পেলোসি ও দা স্কোয়াড। ছবি : সংগৃহীত

ট্রাম্পের মতো নিউ ইয়র্কের স্থানীয় ওকাসিও টুইটেরের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'মি. প্রেসিডেন্ট, আমি যে দেশটি থেকে এসেছি এবং যে দেশটির জন্য আমরা সবাই শপথ গ্রহণ করেছি, সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের ধারণ করে এমন কোন দেশের কথা আপনি কল্পনা করতে পারেন না দেখেই আপনি ক্ষুব্ধ। আপনার লুঠতরাজের জন্য একটা শঙ্কিত আমেরিকাতে আপনি বিশ্বাসী।'

ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, ক্রমবর্ধমান তিক্ত আন্তঃ-পার্টির যুদ্ধে এই স্কোয়াডের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত, কিন্তু অন্যান্য গণতান্ত্রিক সহকর্মীদের সাথে তিনিও স্কোয়াডের পাশে দাঁড়ান। তিনি ট্রাম্প এর মন্তব্যকে 'জেনোফোবিক' বলে মন্তব্য করেন।

টুইটারে পেলোসি বলেন, 'যখন @রিয়ালডোনাল্ডট্রাম্প ৪ মার্কিন কংগ্রেসওম্যানকে তাদের দেশে ফিরে যেতে বলেন, তিনি তখন তার "মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' পরিকল্পনাকে পুনর্নিশ্চিত করছেন। যে পরিকল্পনাটি সর্বদা 'মেইক আমেরিকা হোয়াইট এগেইন' করাই উদ্দেশ্য ছিল।' মেরিকাটিকে সাদা করে তুলার বিষয়ে সবসময়ই বলেছেন," টুইটারে তিনি বলেন।

ইলিনয়ের মার্কিন সিনেটর ডিক ডারবিন তার পরিবারের লিথুয়ানিয়ান ঐতিহ্যকে উল্লেখ করে সিবিএসের 'ফেস দ্য নেশনে' বলেছিলেন, 'আমি কি রাষ্ট্রপতির জন্য উপযুক্ত?'। উদ্বাস্তু থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত দুই মুসলিম নারীর মধ্যে একজন হওয়ার ওমরের সংগ্রামের জন্য তিনি স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।

ওমর বাদে অন্য মুসলিম নারী কংগ্রেসওম্যান হচ্ছেন ডেট্রয়েটের স্থানীয় অধিবাসী রাশিদা তালিব। ওমর-তালিবের মতো মানুষের সফলতাই আমেরিকার স্বপ্ন। প্রেসিডেন্টের আমেরিকার এই ঐতিহ্যকে খর্ব করা উচিৎ নয় বলে ডারবিন জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড