• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে দিবে না যুক্তরাষ্ট্র

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ জুলাই ২০১৯, ১৬:০২
ট্রাম্প, রুহানি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। (ছবিসূত্র : স্ক্রোল ইন)

মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে দিবে না যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। সোমবার (৮ জুলাই) ক্রিস্টিয়ানস ইউনাইটেড ফর ইসরায়েল (সিইউএফআই) নামে আয়োজিত এক সম্মেলনে দেওয়া তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন একটি সময়ে মাইক পেন্স মন্তব্যটি করলেন যখন নিজেদের ইউরেনিয়াম মজুদের মাত্রা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।

ইসরায়েলপন্থি খ্রিস্টানদের সেই অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে মাইক পেন্স বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান সরকারের সকল ক্ষতিকর প্রভাবের বিরোধিতা চালিয়ে যাবে। আমরা কখনোই তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেব না।'

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বিরোধের জেরে ছয় জাতীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে ইরানের আংশিক সরে আসার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত রবিবার (৭ জুলাই) দেশটির মন্ত্রিসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দেশটির ওপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সকল পরাশক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। (ছবিসূত্র : তাইওয়ান নিউজ)

অপর দিকে পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া এবং ইরানের উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে ইউরেনিয়াম মজুদের মাত্রা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় তেহরান।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তেহরানের এভাবে ইউরেনিয়াম মজুদ করার কেবল একটাই উদ্দেশ্য। আর তা হচ্ছে পারমাণবিক বোমার মালিক হওয়া। যদিও আগের চুক্তিতে পশ্চিমা নেতারা ইরানের এই ইউরেনিয়াম মজুদের হার বাড়ানো মাত্রই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে এখন তারা তা আর মানছেন না।'

এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কমানোর জন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয় দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। যেখানে শর্ত ছিল ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনবে, যার বিনিময়ে তাদের উপর আরোপিত সকল অবরোধ ক্রমশ তুলে নেওয়া হবে।

যদিও পরবর্তীতে গত বছরের ৮ মে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে একে একটি অকার্যকর চুক্তি বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি তেহরানের তেল বিক্রিতে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন; যা এখনও অব্যাহত আছে।

যদিও গত ১ জুলাই নিজেদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা অতিক্রম করেছে বলে দাবি করেছিলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। এক টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, 'কোনো চাপের কাছে ইরান কখনোই নতি স্বীকার করবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদি আলোচনা করতে চায়, তাহলে সকল হুমকি ধমকি পরিহার করে, সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে কথা বলতে হবে। আমাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির পরিমাণ ৩০০ কেজি অতিক্রম করেছে।'

মন্ত্রী আরও বলেছেন, 'ইউরোপের তিন দেশ এবং ইইউ যতদিন ইরানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে; তেহরানও ঠিক ততদিন পরমাণু সমঝোতার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে যাবে।'

টুইট বার্তায় জাভেদ জারিফ বলেছিলেন, 'ইরান এখন থেকে পরমাণু সমঝোতার ঠিক সেই অংশটুকুই মেনে চলবে, ইইউ'র দেশগুলো এতদিন যতটুকু মেনে চলেছিল। যদিও সেক্ষেত্রে যথেষ্ট ন্যায় ও নিষ্ঠা বজায় রাখা হবে।'

এসবের প্রেক্ষিতে গত রবিবার (৭ জুলাই) ম্যারিল্যান্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'একটি মাত্র অজুহাতে ইরানের ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনার জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে। ইউরেনিয়াম মজুদ বন্ধ না করলে তাদের খুব শিগগিরই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে।'

আরও পড়ুন :- তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮,৫০০ কোটি টাকার অস্ত্র বিক্রি

তাছাড়া অপর এক টুইট বার্তায় পরমাণু ইস্যুতে তেহরানকে এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। নিজের টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, 'খুব শিগগিরই আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ইরানকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা করা হবে।'

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড