আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যৌথ সংবিধিবদ্ধ পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত ইরানের পারমাণবিক চুক্তিটি নিয়ে সংকট সৃষ্টি হওয়ার পেছনে দায় আমেরিকার, যেহেতু চুক্তির বলটি আমেরিকার মাঠে। সাংবাদিকদের কাছে এই কথা বলেন রাশিয়ান ফেডারেশন কাউন্সিলের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন কনস্টান্টিন কোসচেভ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কোসচেভ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই কেবলমাত্র জেসিপিওএ-কে রক্ষা করতে পারবে, পরমাণু চুক্তিটি সংরক্ষণে ইরানের দাবি যৌক্তিক। বলটি এখন আমেরিকার কাছে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে চুক্তিটি সংরক্ষণ করতে সক্ষম।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সূচক এই মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে জেসিপিওএ-তে ফিরে যাওয়ার জন্য তেহরানের প্রস্তুতিটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। কোষাচেভ পুনরাবৃত্তি করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ই প্রথম চুক্তিটিকে ভারী আঘাত করেছে এবং স্বাক্ষরকরা ইইউ রাষ্ট্রগুলোও প্রতিশ্রুতি দেয়া বাণিজ্য বিনিময় সহায়তা বাস্তবায়নেও বিলম্ব করেছে।
এর আগে রবিবার (৭ জুলাই) ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, 'আজ ইউরোপীয় সদস্যদের দেয়া ৬০ দিনের সময়সীমার শেষ দিন এবং ইরান তার জেসিপিও-তে দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে যা অর্জন করার কথা তা অর্জন করেনি, তাই নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় পর্যায়ে ইরান তার প্রতিশ্রুতি হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, অবশ্যই এই পদক্ষেপটি এমনভাবে চলছে যে, এই সময়ের মধ্যে কূটনীতি ও মিথস্ক্রিয়া করার সুযোগ রয়েছে এবং যদি সুযোগটি ব্যবহার করা না হয় তবে ইরান যে তার প্রতিশ্রুতি হ্রাস করার সিদ্ধান্তটি কার্যকর করবে তাতে কারো সন্দেহ নাই।
'জেসিপিও চুক্তিটি এমন একটি আন্তর্জাতিক দলিল যা ইরানকে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যার পারমাণবিক, ভারী পানি এবং সমৃদ্ধ প্রযুক্তি আছে। আমরা চুক্তিটি চলমান রাখতে চাই, তবে, চুক্তি অনুযায়ী আমাদের দাবিগুলি পূরণ করাও আবশ্যক। অন্যথায়, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতির পুনর্বিবেচনা করব এবং যদি ইউরোপীয়রা আমাদের দাবি পূরণ না করে, আমরা প্রতিশ্রুত ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বোর্ডের গভর্নরদের একটি বৈঠক করার অনুরোধ জানানোকে ইঙ্গিত করে আব্বাস বলেন, 'এখানে কমেডি রয়েছে; এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইএইএ বোর্ডের একটি বৈঠক আহ্বান করেছে। গভর্নরগণ। যদিও যেকোনও দেশ এই বৈঠকের আবেদন করতে পারে, চীন ও রাশিয়ার মার্কিন অনুরোধটি বাতিল করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।'
ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোর ফোন কলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি 'গঠনমূলক' ছিল এবং সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ইউরোপীয়, চীন ও রাশিয়ার মনোভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। যদিও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও চাপ পরিস্থিতি আরো খারাপ করেছে।
ভিয়েনায় জেপিইসিএ যৌথ সালিস কমিশনের সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কে আব্বাস বলেন, কূটনীতির রাস্তা খোলা রয়েছে, তবে বিরোধের যেকোনো সমাধানকেই ইরানের দাবি পূরণ করতে হবে। 'ইরনা'
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড