আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে গ্রাহকদের তথ্য চুরির অভিযোগে জরিমানার শিকার হয়েছে ১৮৩ মিলিয়ন পাউন্ড। তথ্য কমিশনারের কার্যালয় (আইসিও) বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার এমন বিপুল পরিমাণ অর্থদণ্ড দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপের (আইএজি) বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ এয়ারলাইনসকে।
মালিকানাধীন বিমান সংস্থা আইএজিকে এমন জরিমানা 'বিস্মিত এবং হতাশ' করেছে বলে জানায়। ব্রিটিশ এয়ারলাইনস বলছে, হ্যাকাররা তাদের ওয়েবসাইটে 'অত্যাধুনিক ক্ষতিকর অপরাধমূলক হামলা' চালায়।
আইসিও জানিয়েছে যে, এটিই ছিল তাদের দেয়া সর্বকালের সবচেয়ে বড় শাস্তি এবং নতুন নিয়মে জনসমক্ষে প্রকাশ করা এটাই প্রথম সাজা। গত বছরে তথ্য গোপনীয়তা জেনারেল ডেটা সুরক্ষা রেগুলেশন (জিডিপিআর)-এর চাপ ছিল ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা।
ব্রিটিশ এয়ারলাইনসের ওপর আরোপিত জরিমানাটি হলো- এই নিয়মগুলো প্রবর্তিত হওয়ার পরে প্রথম জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা জরিমানা। ২০১৭ সালে এর বিশ্বব্যাপী টার্নওভারের ১ দশমিক ৫ শতাংশের পরিমাণ, সর্বাধিক সম্ভাব্য ৪ শতাংশের কম না।
আগের নিয়মে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক জরিমানার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ পাউন্ড। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ডাটা স্ক্যান্ডালের কারণে ফেসবুককে এমন জরিমানা করাই ছিল অনুমোদিত সর্বোচ্চ পরিমাণ। ব্রিটিশ এয়ারলাইনসকে ২৮ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে আপিল করার জন্য।
'আইএজি'র প্রধান নির্বাহী উইলি ওয়ালশ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ আইসিওর প্রতিনিধিত্ব করবে। তিনি বলেন, 'এয়ারলাইনটির অবস্থানকে রক্ষা করতে আমরা আপিলসহ যথাযথ পদক্ষেপগুলো নিব'। নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘনের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার লেনদেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু চুরি করা তথ্যটিতে ভ্রমণ বা পাসপোর্টের বিশদ অন্তর্ভুক্ত ছিল না বলেই ইতোমোধ্যেই এয়ারলাইনসটি জানিয়েছে।
গ্রাহকদের তছরুপকৃত তথ্যগুলোতে নাম, ই-মেইল ঠিকানা, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং তিন অঙ্কের সিভিভি কোড যা ক্রেডিট কার্ডের পেছনে অন্তর্ভুক্ত ছিল, যদিও সংস্থাটি সিভিভি নম্বর সংরক্ষণ করেনি বলে জানিয়েছে। ২০০৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ও ২৫ অক্টোবর ঘটনাটি প্রকাশ হয়।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রুজ এমন ঘটনায় গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেন, আইসিও-এর এই প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত ফলে আমরা অবাক এবং হতাশ। গ্রাহকদের তথ্য চুরি করার একটি ফৌজদারী অপরাধের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
চুরি সম্পর্কিত অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রতারণা / প্রতারণামূলক কার্যকলাপের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার কারণে যে কোনো অসুবিধার জন্য আমরা আমাদের গ্রাহকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।' বিবিসি নিউজ
ওডি/এসএমএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড