• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘকে ব্যর্থ বলল বাংলাদেশ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ জুন ২০১৯, ১৪:০১
রোহিঙ্গা শরণার্থী
মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থী। (ছবিসূত্র : দ্য ইকোনমিস্ট)

চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘের পদ্ধতিগত ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আয়োজিত প্লেনারি আলোচনায় বক্তব্যকালে তিনি এই ব্যর্থতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

'ইউএনবি'র খবরে বলা হয়, মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ট রোজেনথালের 'মিয়ানমারে ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত' শীর্ষক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃতি করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘে এই রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, 'রোহিঙ্গাদের ওপর যে বীভৎস সহিংসতা হয়েছে আমাদের তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। তথ্য-প্রযুক্তিগত সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও পূর্ব সতর্কতা নিরূপণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। তবে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও প্রতিষ্ঠান এই সর্তকতা প্রদানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।'

এ দিকে শনিবার (২৯ জুন) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। যেখানে রাষ্ট্রদূত মাসুদ উল্লেখ করেন, 'রোহিঙ্গা সমস্যাটি ছিল ব্যাপক ও গভীর, এটি হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয়নি। এখানে পূর্ব সতর্কতা চিহ্ন প্রাপ্তির কোনো ঘাটতি থাকার কথা নয়। তবে এ ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপের ভীষণ ঘাটতি ছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে তা রোজেনথালের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।'

বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মাসুদ রোজেনথালের করা প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ তুলে ধরে বলেন, 'এটি অবশ্যই বলা যেতে পারে যে; রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের যখন নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বিশেষ সমর্থন ও ধারাবাহিক সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল তখন তারা সেই সমর্থন যোগাতে ব্যর্থ হয়েছে। আর তাই এ দায়ের অংশ বিশেষ এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর অনেকাংশে বর্তানো প্রয়োজন।'

২০১৭ সালে নিজেদের জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় ও সহযোগিতা প্রদানে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের উদারতার কথাও উল্লেখ করেন স্থায়ী এই প্রতিনিধি। তিনি বলেন, 'ভয়াবহ নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার দৃশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন অসহায়ের মতো চেয়ে চেয়ে দেখছে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনা তার সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে যদি ভাগ্য বিড়ম্বিত অসহায় এই জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় না দিতেন তাহলে তাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা থাকতো না।'

আরও পড়ুন :- মার্কিন ড্রোন ইস্যুতে জাতিসংঘে ইরানের অভিযোগ

রাষ্ট্রদূত মাসুদ তার বক্তব্যে বিশ্বে এসব বর্বরোচিত ঘটনার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ বিষয়ক আরটুপির’র স্তম্ভ-২ ও স্তম্ভ-৩ এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের স্থায়ী এই প্রতিনিধি বলেন, 'আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কখনই ব্যর্থ হতে পারি না। এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমারে এবং এর সমাধান সেখানেই নিহিত। রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকেই এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান করতে হবে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড