• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিরোধিতার পরও ভারতীয় পার্লামেন্টে তিন তালাক বিল

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ জুন ২০১৯, ১০:৫৩
তিন তালাক বিল
ভারতের পার্লামেন্টে তিন তালাক বিলের বিরুদ্ধে মুসলিম নারীদের বিক্ষোভ; (ছবিসূত্র : এনডিটিভি)

বিরোধী দলীয় সাংসদদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে উত্থাপিত হলো তিন তালাক বিল। গত মেয়াদে সংসদের উচ্চকক্ষে বিলটি আটকে যাওয়ায় তখন সেটি পাস করাতে ব্যর্থ হয় বিজেপি সরকার। যে কারণে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা মাত্রই বিলটি প্রথম পার্লামেন্টে তুলেছে মোদী বাহিনী।

কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যম 'আনন্দবাজার পত্রিকা' এক প্রতিবেদনে জানায়, এবারের লোকসভায় বিলটি উত্থাপিত হওয়ার পরপরই বিরোধী জোটের এমপিরা হইচই ও বাদানুবাদ শুরু করেন। গত বারের ষষ্ঠদশ লোকসভায় বিলটি পাস করাতে ব্যর্থ হলে শুক্রবার তা পুনরায় পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন সরকারি সাংসদরা। যদিও এতে বিরোধীদের অভিযোগ, 'এটি সম্পূর্ণই একটি পক্ষপাতমূলক বিল।'

এ দিকে গত ফেব্রুয়ারিতে তিন তালাক নামে এই বিলটি পাস করাতে তৎকালীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার মুসলিমদের বিবাহবিচ্ছেদ ইস্যুতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। যদিও তখন সংসদে বিলটির বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় রাজ্যসভায় সেটি পাস করাতে ব্যর্থ হন তারা।

বিরোধীদের দাবি, পরীক্ষার জন্য একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে তাদের কাছে বিলটি পাঠানো হোক। যদিও সরকার পক্ষ এরই মধ্যে সেই দাবি খারিজ করে। এবারের নতুন বিলটি তৎকালীন অধ্যাদেশেরই একটি প্রতিরূপ। আগের সেই অধ্যাদেশকে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এবার নতুন ‘মুসলিম নারী বিল’ উত্থাপন করা হলো।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় বিলটি পাস করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়, কোনো মুসলিম পুরুষ তার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে তিনবার তালাক শব্দটি উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বিলটির নাম হচ্ছে, ‘দ্য মুসলিম উইমেন বিল’ (প্রোটেকশন অফ রাইটন অন ম্যারেজ) ২০১৯।

আরও পড়ুন :- নারীকে ঘাড় ধাক্কা দেওয়ায় বিপাকে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী

অপর দিকে বিলটি নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা শুরু হলে বিরোধী কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, 'এটি একটি পক্ষপাতমূলক বিল। সরকারের উচিত অবিলম্বে একটি অভিন্ন আইন প্রণয়ন করা। কেননা অন্য ধর্মের মানুষরাও তো প্রায়ই তাদের স্ত্রীদের পরিত্যাগ করেন। যে কারণে সকল ধর্ম নির্বিশেষে স্ত্রী পরিত্যাগ করা দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখা হোক। তাই এখনই স্থায়ী কমিটির কাছে এই বিলটি পাঠানো উচিত।’

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড