আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০১৯ সালের প্রথম দিকে কিম-ট্রাম্পের দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন মুখ থুবড়ে পড়লে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনা থেমে যায়। ঠিক কী কারণে কখনো কখনো পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিতে পড়ে বিশ্ব তার একটি পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হচ্ছে।
কেনই বা উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ ঘটাচ্ছে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়ান উপদ্বীপটি উত্তর-দক্ষিণ দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এবং উত্তর অংশ একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার গঠন করে। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রকেই বৈশ্বিক বৈরিতার একমাত্র প্রতিবন্ধক হিসেবে বিশ্বাস করে, তাদের একঘরে করে রাখার প্রবণতা ধ্বংসে এটিই একমাত্র হাতিয়ার।
কোরিয়া পারমাণবিক হামলা পরিচালনা করতে পারে কি না সে বিষয়ে আপামর সবাই একটা সন্দেহে রয়েছে। উত্তর কোরিয়া সম্ভবত ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। তাদের একটি পারমাণবিক বোমা রয়েছে যা দীর্ঘ-পরিসীমা ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য যথেষ্ট ছোট বলে দাবি করলেও তা অযাচিতই রয়ে গিয়েছে। কোরিয়ার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
কীভাবে আলোচনা শুরু হলো?
একাধিক পারস্পরিক হুমকির কয়েক মাস পর, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কিম 'সংলাপের জন্য প্রস্তুত' বলে ঘোষণা করেন। উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার পূর্বে পারমাণবিক বোমামুক্ত হতে হবে এমন শর্ত থেকে সরে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সংলাপে রাজি হন।
২০১৮ সালের ১২ জুন প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ান নেতা কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিজ্ঞার আসল অর্থের কোনো ধরনের বিস্তারিত ছাড়াই 'কোরিয়ান উপদ্বীপকে সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক বোমামুক্ত' করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন দুই নেতা।
তারপর থেকেই দুদেশের মধ্যে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে একতরফাভাবে পরমাণু অস্ত্র বাতিল করার দাবি করে যখন পিয়ংইয়ং কোরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার শাসনকে সহজতর করার জন্য ধাপে ধাপে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চেয়েছিল।
২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দুই নেতা ভিয়েতনামের হ্যানয়তে দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মিলিত হন, তবে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। উভয় পক্ষই ভবিষ্যতে আলোচনায় উন্মুক্ত থাকার কথা জানালেও এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সম্মেলন নির্ধারিত করেনি।
হ্যানয় বৈঠক মুখ থুবড়ে পড়ার পর ইতোমধ্যেই কিম জং-উন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়ানোর প্রচেষ্টায় নতুন করে অস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এ দিকে, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আরেক মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের প্রেসিডেন্ট কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দুই দিনের সফরে উত্তর কোরিয়া পৌঁছান। মার্কিন বিরোধী পরাশক্তিদের সঙ্গে কিমের এমন সখ্যতা ট্রাম্পকে কতটা চাপে রাখতে পারে তাই এখন দেখার বিষয়। 'বিবিসি নিউজ'
ওডি/এসএমএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড