আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গেল বছরের সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে তুর্কির ইস্তানবুলস্থ সৌদি দূতাবাসে ভয়ঙ্করভাবে হত্যা করা হয়েছিল, এখন পর্যন্ত খাসোগির দেহাবশেষের সন্ধান মিলেনি। এই হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বে তোলপাড় শুরু হলে সন্দেহের তীর সোজা গিয়ে পড়ে সালমানের দিকে। খাসোগি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সালমান ও উচ্চপদস্থ সৌদি কর্মকর্তাদের বিশ্বাসযোগ্য সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গিয়েছে বলে বুধবার (১৯ জুন) জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানায়।
মার্কিন গণমাধ্যম 'ওয়াশিংটন পোস্ট'-এর সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ সালমান বিন মোহাম্মদ ও সৌদির উচ্চপদস্থ কর্মকার্তারা দায়ী বলে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে জানানো হয়। জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাগ্নেস কালামার্দের করা প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, প্রাপ্ত প্রমাণে আন্তর্জাতিকভাবে আরও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
২০১৮ সালের দোসরা অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে বিবাহ সম্পর্কিত কাগজপত্র নিতে প্রবেশ করে জামাল খাসোগি। সেখান থেকে সে আর কোনোদিন বের হয়নি। তুর্কি কর্মকর্তারা ব্যাপক অনুসন্ধানের পর জানায় যে, খাসোগিকে দূতাবাসের ভেতরেই সৌদি এজেন্টদের দ্বারা খুন করা হয়। খাসোগি সালমান ও সৌদি প্রশাসনের প্রকাশ্য সমালোচক ছিলেন।
আরও পড়ুন : ক্ষুধায় হেরেছে আমালরা, প্রতিবাদে খুন হয়েছে খাসোগি, জিতেছে ডলার!
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায় যে তারা প্রিন্স মোহাম্মদ এর আদেশে কার্যকর করছেন না। উপসাগরীয় রাজ্যটি খাসোগিকে খুনের জন্য অচিহ্নিত ১১ জনকে শাস্তি দিয়েছে। এদের পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দেয়া হয়েছে। তবে, শাস্তিপ্রাপ্তদের পরিচয় সম্পর্কে তেমন কিছু প্রকাশ করেনি সৌদি সরকার।
যাইহোক, কালামার্দ সৌদির বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক পদ্ধতিগত এবং মৌলিক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হবার দায়ে স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। 'বিবিসি নিউজ'
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড