• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মোদীর 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বৈঠকে যাচ্ছেন না মমতা-মায়াবতী

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯ জুন ২০১৯, ১৬:১৯
'এক দেশ, এক নির্বাচন'
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর মোদী 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন, কিন্তু সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকছেন বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতা-নেত্রী। বৈঠকে যাবেন না বলে মঙ্গলবারই (১৭ জুন) জানিয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই পথে হাঁটলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী (বিএসপি) মায়াবতী। ইভিএম নিয়ে কথা হলে যদিও বা যেতেন, কিন্তু মোদীর এই বৈঠকে যাওয়ার কোনো অভিপ্রায় তার নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে যোগ দেয়া নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি, তবে তারা বৈঠকে যাচ্ছেন না বলে এদিন সংসদে ঢোকার মুখে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন দলের সাংসদ গৌরব গগৈ। আগেই বৈঠক বয়কট করেছিলেন ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। এনসিপি নেতা শারদ পওয়ারও বৈঠকে যাবেন না বলে জানা গিয়েছে। তবে নিজেরা না গেলেও, বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কে চন্দ্রশেখর রাও, অরবিন্দ কেজরীওল এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুরা। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বাম নেতারাও।

বৈঠকে না যাওয়া নিয়ে টুইটারে মায়াবতী জানান, 'গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন কখনো বড় সমস্যা হতে পারে না। খরচের দোহাই দিয়ে সেটাকে সমস্যা বলে তুলে ধরাও ঠিক নয়। দেশজুড়ে যখন দারিদ্র, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং সহিংসতার ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে, সেই সময় মানুষের নজর ঘোরাতেই এই এক দেশ, এক নির্বাচন বৈঠক ডাকা হয়েছে।'

মায়াবতী আরও বলেন, 'ব্যালট পেপারের বদলে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট করানোর জেদ ধরে বসে রয়েছে সরকার, যা গণতান্ত্রিক দেশ এবং দেশের সংবিধানের পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক। ইভিএম-এর ওপরে আর তেমন আস্থা নেই মানুষের। তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে যদি বৈঠক ডাকা হতো, অবশ্যই যেতাম আমি।'

আসামের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ বলেন, 'যতদূর জানি, আমাদের দলও বৈঠকে যাচ্ছে না'। তবে, মোদীর সর্বদল বৈঠকে যাবেন না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে উপস্থিত না থাকতে পারার কারণ জানিয়ে চিঠি পাঠান তিনি।

চিঠিতে লেখেন, 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ঠিক মতো আলোচনা করা এত কম সময়ের নোটিশে সম্ভব নয়। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে আগে কথা বলা দরকার।' দেশটির সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীকে তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, 'এই বিষয়টি নিয়ে একটি শ্বেতপত্র তৈরি করুন এবং তা সব রাজনৈতিক দলকে দিন। সময় দিয়ে এ বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চান।'

মমতা চিঠিতে আরও লেখেন, 'আমরা ১৫ জুন নীতি আয়োগের বৈঠকেই এ ব্যাপারে আমাদের মত জানিয়েছিলাম। যেকোনো রাজ্যের কয়েকটি জেলাকে পিছিয়ে পড়া হিসেবে দাগিয়ে দেয়া নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। এতে রাজ্যের সমস্ত জেলাগুলোর সুষম বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। আমাদের রাজ্য সমস্ত জেলার সুষম আর্থিক এবং সামাজিক বিকাশের প্রশ্নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

দুটি বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাচ্ছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। বিষয়টি অসম্মানজনক বলেই মনে করছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দ্বিতীয়ত, শেষ মুহূর্তে চিঠি দিয়ে ডাকার পেছনে তলব করার প্রচ্ছন্ন মানসিকতা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এর আগেও, একাধিকবার মোদীকে এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় 'ফণী'র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কী ধরনের সাহায্য রাজ্যের প্রয়োজন, সে সব নিয়ে আলোচনার জন্য ভোট চলাকালীনই ফোনে মমতার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন মোদী। কিন্তু রাজি হননি মমতা। মোদীর শপথগ্রহণেও যাবেন না বলে প্রথমে জানিয়ে দিয়েছিলেন। পরে যদিও মত বদলান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড