• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সঙ্কট নিরসনে নতুন পথ খুঁজছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯ জুন ২০১৯, ১৬:২২
মার্কিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মিলাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। (ছবিসূত্র : ইউএস নিউজ)

চলমান বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে নতুন করে আলোচনার পথ খুঁজছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মধ্যকার আসন্ন বৈঠককে কেন্দ্র করে এ ধরনের আলোচনার কথা বিবেচনা করছে দুদেশের কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত আসন্ন জি-২০ সম্মেলনের সাইড লাইনে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিতের কথা রয়েছে। যার অংশ হিসেবে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে নিজেদের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে।

এর আগে চীনের পক্ষ থেকে শক্তিশালী এই দুই দেশের নেতাদের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও; বৈঠকটি ঠিক কোথায় হবে তা নিয়ে তথ্য জানানো হয়নি।

টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, 'চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার টেলিফোনে চমৎকার কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে জাপানে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে আমাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য আমাদের টিম বৈঠকের আগেই নানা বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন।'

বিশ্লেষকদের দাবি, এমন একটি সময়ে শীর্ষ এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে; যখন ট্রাম্পের শুল্কারোপ ও চীনা পণ্য বর্জনের ফলে উভয় দেশই একটি বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাছাড়া এই বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন চীনা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছে বলে মনে করেছেন চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা।

এ দিকে গত রবিবার কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শিক সাময়িকীতে এক মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বিরোধ নিরসনে করা আলোচনায় নিজেদের মূল নীতিতে ছাড় দেবে না চীন। একটি দীর্ঘ মেয়াদি অর্থনৈতিক যুদ্ধের জন্য বেইজিং সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছে।

অপর দিকে চীনের সঙ্গে চলমান বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে গত বছর বেইজিং থেকে রফতানিকৃত পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। পরবর্তীতে যার প্রেক্ষিতে 'মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন' এবং 'আমেরিকা ফার্স্ট' নামে কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয় বেইজিং। যার অংশ হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে চীনা সরকার।

আরও পড়ুন :- উ. কোরিয়ার সঙ্গে অফুরন্ত বন্ধুত্বের দাবি চীনা প্রেসিডেন্টের

যদিও এই বাণিজ্য সঙ্কট নিরসনে চলতি বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন ও বেইজিং একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসলেও; শেষ পর্যন্ত তা কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়। যে কারণে আসন্ন ট্রাম্প-শি জিনপিং মধ্যকার বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা এবং এর নিরসন হবে বলে আশা করেছেন দুদেশের কর্তৃপক্ষ।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড