• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভারতে পদত্যাগ করলেন সাত শতাধিক চিকিৎসক

সোমবার দেশব্যাপী ধর্মঘট

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ জুন ২০১৯, ১৫:৫৭
চিকিৎসক নিগ্রহ
কলকাতায় চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে আন্দোলন। (ছবিসূত্র : দ্য হিন্দুস্তান টাইমস)

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এনআরএস মেডিকেল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে গণইস্তফার পর এবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।

আগামী সোমবার (১৭ জুন) দেশের সকল হাসপাতালে একমাত্র জরুরি বিভাগ ছাড়া বাকি সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় এই সংগঠন। একই সঙ্গে শনি ও রবিবার ভারত জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে। ।

'আনন্দবাজার পত্রিকা'র খবরে বলা হয়, চিকিৎসকদের আন্দোলনে এই মাত্রা নতুন আকার ধারণ করেছে ইস্তফার মাধ্যমে। যা শুরু হয়েছিল সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে। মূলত এরপর থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চিকিৎসকরা গণইস্তফা দিতে শুরু করেন।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর পর্যন্ত চারজন অধ্যক্ষসহ ইস্তফা দিয়েছেন অন্তত সাত শতাধিক চিকিৎসক। নজিরবিহীন এই পরিস্থিতিতে গোটা পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও এমন পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসক মহল কেবল রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করছে। তারা সরাসরি না বললেও ইস্তফার কারণ হিসেবে প্রশাসনিক অসহযোগিতাকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন।

বৃহস্পতিবারই (১৩ জুন) পশ্চিমবঙ্গের এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে রোগীর স্বজনদের হাতে একজন জুনিয়র চিকিৎসক আহত হলে ন্যায়বিচারের দাবিতেই শুরু হয় এই বিক্ষোভ। তখন ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে গেলে মমতা তাদের কাজে ফিরতে 'হুঁশিয়ারি' দেন, আর এরপরই কঠোর অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।

মূলত এর অংশ হিসেবে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালসহ রাজ্যের প্রায় সব হাসপাতালেই শুরু হয় ইস্তফার প্রক্রিয়া। যেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই পদত্যাগী চিকিৎসকদের সংখ্যা। ইস্তফা দিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার। শুক্রবার (১৪ জুন) সিউড়ি হাসপাতালের সুপার শোভন দে বলেন, 'চিকিৎসকরা ইস্তফা দিবেন বলে শুনেছি। কিন্তু এখনো আমার কাছে কারও কোনো ইস্তফার চিঠি আসেনি।'

এ দিকে কলকাতার ঘটনায় চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দেশে নতুন আইন করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও দাবি জানিয়েছেন আইএমএ নেতারা। এমনকি তারা হাসপাতাল চত্বরকে একটি ‘সেফ জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করারও দাবি করেছে সংগঠনটি।

শনিবারও দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পালিত হয় ধর্মঘট। এ দিন পশ্চিমে মুম্বাই, দক্ষিণে তিরুঅনন্তপুরম থেকে উত্তরে হৃষীকেশ কার্যত গোটা ভারতের চিকিৎসকেরা কলকাতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদে সড়কে নেমে পরেন।

আরও পড়ুন :- ডাক্তারদের গণইস্তফা, হুমকিতে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা

এমন পরিস্থিতির জন্য ক্রমশ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে ভারতের চিকিৎসা পরিষেবা। এখন হাসপাতালগুলোতে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে গেলেও করা হচ্ছে না ভর্তি। মেলেনি প্রাথমিক চিকিৎসার মতো পরিষেবাও। স্বজনরা রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই কার্যত খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে। যে কারণে অবিলম্বে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না করলে দেশের গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহলের বড় একটা অংশ।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড