আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সোমবার (২৭ মে) এক বিবৃতিতে জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টোকিও সম্মেলন শেষে কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে গত এপ্রিলেই আলোচনা শুরু হয়েছিল এবং এই আলোচনা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে 'উইন-উইন রিলেশনশিপ' বজায় রাখতে সুবিধা করেছে। 'সিনহুয়া'
ট্রান্স প্যাসেফিক পার্টনারশিপ (টিআরপি) বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামনে আসার আগ পর্যন্ত জাপানের মূল চাওয়া পাওয়ার জায়গা ছিল জাপানের শিল্পের ওপর মার্কিন শুল্কারোপ না করা। জাপানের অটোমোবাইল রপ্তানির ওপর মার্কিনিদের শুল্কারোপ করার সম্ভাবনা থাকায় এত দিন চিন্তার ভাজ পড়েছিল জাপানি শিল্প বাণিজ্যের কপালে। তবে এই চিন্তা অনেকটাই কমে গিয়েছে ট্রাম্পের জাপান সফরের ফলে। জাপানি শিল্পের ওপর মার্কিনিদের অতিরিক্ত শুল্কারোপ না করার কারণ জাপানের কৃষি বাজারে (বিশেষ করে-মাংসা,পর্ক ও গম) মার্কিনিদের আধিপত্য বিস্তার করা।
সংবাদ বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রান্স প্যাসেফিক পার্টনারশিপ নিয়ে বলেন, আমরা এই চুক্তির আওতাভূুক্ত নই তাই অন্যান্য দেশ যে সিদ্ধান্ত নিবে তা আমাদের জন্য কোনো বাধার কারণ হবে না। টিপিপি চুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছুই করতে পারবে না। এই চুক্তি হয়তো আমদের অটোমোবাইল শিল্প এবং আমাদের অনেক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করবে।
তবে দুই দেশ প্রধানই সংবাদ বিবৃতিতে বলেছে, বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা দ্রুততর সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আশা করি আলোচনার ফলাফল খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে যা ইতোমধ্যেই ঘনিভূত হচ্ছে।
তবে ওই বিবৃতিতে জাপানের বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, জাপানের অটোমোবাইল রপ্তানি বিষয়টি 'মারাত্মক ভারসাম্যহীন' হয়ে গিয়েছে। অটোমোবাইল বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আরও আলোচনার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন 'ন্যায্য ও নিরপেক্ষ পদক্ষেপ'।
ভূরাজনীতি বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে বলেন, কোরিয়ার পেনিনসুলা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একই অবস্থানে রয়েছে জাপান। এই বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, আমার জানা মতে উত্তর কোরিয়া কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেনি যা জাতিসংঘের নীতিমালা বিরোধী। ট্রাম্প আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার সাথে পারমাণবিক নিষ্ক্রিয়তা সম্পর্কিত চুক্তি নিয়ে এত তাড়াহুড়োর কিছু নেই।
তবে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের চলমান যুদ্ধ হুমকি নিয়ে শিনজো আবে বলেন, ইরানের পারমাণবিক হুমকির বিষয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে টোকিও এবং ওয়াশিংটন এক সাথে কাজ করবে। এছাড়াও এই সংবাদ বিবৃতিতে দুই দেশের আন্তঃসম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে দুই দেশের দেশ প্রধানই ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ওডি/কেএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড