• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করায় চেক আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ মে ২০১৯, ১৫:৪৮
চেক প্রজাতন্ত্রে বিক্ষোভ
চেক প্রজাতন্ত্রে আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত জনতা। (ছবিসূত্র : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট)

মধ্য ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রে টানা চার সপ্তাহ যাবত হাজারো নাগরিক দেশটির আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। যার অংশ হিসেবে বুধবার (২২ মে) স্থানীয় সময় সকাল থেকে তারা সড়ক অবরোধ করতে শুরু করেন।

তাদের দাবি, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রিজ বাবিসের বিরুদ্ধে আদালতে উত্থাপিত আত্মসাতের ফৌজদারি মামলায় আইনমন্ত্রী মেরি বেনেসোভার বিঘ্ন ঘটাতে পারেন।

এদিন সকাল থেকে প্রাগে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে আগত লোকজন প্রধানমন্ত্রী বাবিসের অপসারণের দাবি করেন। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবত আইনমন্ত্রী মেরি বেনেসোভার যে সব মন্তব্য ও কার্যকলাপ দেখাচ্ছেন তাতে খুব সহজেই অনুমান করা যায় যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ নিচ্ছেন।’

আদালতে বাবিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোটিপতি এই ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছ থেকে দুই মিলিয়ন ইউরো অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছেন। যদিও তিনি ইতোমধ্যে এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।

এর আগে ২০১৭ সালে দেশটির সংসদে হাতেগোনা যে কয়েকজন চেক আইন প্রণেতা প্রধানমন্ত্রী বাবিসের বিরুদ্ধে আনীত ভর্তুকি মামলায় জড়ানোর বিরোধিতা করেছেন, আইনমন্ত্রীর বেনেসোভা ছিলেন তাদেরই মধ্যে একজন। তাছাড়া ২০১৩ সালে বাবিসের মিত্র মাইলোস জেমানের নিয়োগ দেওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারেও আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

এ দিকে আয়োজকদের মতে, বুধবার সকাল থেকে প্রাগের কেন্দ্র ওয়েনসেসলাস স্কয়ারে একে একে সমবেত হতে শুরু করে বিক্ষোভরত জনতা। এতে আগত জনগণের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাদের দখলকৃত এলাকার পরিধি।

যে কারণে আয়োজকেরা এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিক্ষোভে চেক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকাবাহী এসব জনতার হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আমি আমার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লজ্জিত’ এবং ‘ন্যায়বিচারে চিড় ধরানো যাবে না’।

বেসরকারি এনজিও কর্মকর্তা ৩৪ বছর বয়সী জোসেফ হোভোর্কা বলেন, ‘বাবিসের মতো লোক যদি আমাদের প্রতিনিধিত্ব করেন তাহলে তা মোটেই আমাদের জন্য সুখকর নয়। এ ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়াকে আমরা উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারি, যেখানে আরও ছোট অপরাধের জন্য দেশটির রাজনীতিবিদেরা পদত্যাগ করেছেন।’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এ ব্যক্তি গত সপ্তাহের শেষ দিকে অস্ট্রিয়ায় ভিন্ন এক কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর দায়ে দেশটির চ্যান্সেলর সিবাস্তিয়ান কার্জের জোট সরকারের পতনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

দেশব্যাপী চলমান প্রতিবাদ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বাবিস ও তার পার্টি এএনও আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। নির্বাচনি জরিপে দেখা গেছে, তারা এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।

অপর দিকে বিশ্লেষকদের দাবি, চেক আদালতে মামলা উত্থাপনের আগে কৌঁসুলিরা চাইলে তা যেকোনো সময়ই থামিয়ে দিতে পারেন। যে কারণে তাদের এখনই কোনো না কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে তারা প্রধানমন্ত্রী বাবিসকে আদালতের মুখোমুখি করতে চান কি না।

আরও পড়ুন :- সঙ্কট নিরসনে পার্লামেন্টে থেরেসা মের নতুন প্রস্তাব

যদিও পুলিশ এর তদন্ত প্রক্রিয়া পুরোপুরি গুটিয়ে নেওয়ার এক দিনের মাথাতেই আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা বেনেসোভার পূর্বসূরিরা তাদের পদ থেকে নিজেদের অব্যাহতি দিয়েছেন। কেননা দেশব্যাপী আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেভাবে লোকজন এক হচ্ছে তাতে রাজনৈতিক চাপ ক্রমেই বাড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা।

সূত্র : 'রয়টার্স'

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড