আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ইরাকের মাটিতে বর্তমানে মোতায়েন আছে প্রায় কয়েক হাজারের অধিক মার্কিন সেনা। এবার অঞ্চলটিতে এসব সেনাদের উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইস্যুতে ইরাকি সংসদে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ এক ভোটাভুটি।
যেখানে পাশ হতে পারে এ সম্পর্কিত নতুন একটি বিল। আর সেই বিলটি পাস হলে খুব শিগগিরই ইরাকের মাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সেনা সরিয়ে নিতে হবে বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
বিলটির খসড়ায় বলা আছে, ‘এখন থেকে বিদেশি কোনো সেনা ইরাকি ভূখণ্ডে অবস্থান করতে পারবে না।’ গত শনিবার (১৮ মে) দেশটির সংসদে এ সংক্রান্ত একটি ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংসদে উত্থাপিত এই বিলটির বিশেষ উদ্দেশ্য হলো, ইরাক থেকে অবিলম্বে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার করে নেওয়া।
এর আগে ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গি দমনের নামে ইরাকি ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালানো শুরু করে। যদিও সেই আগ্রাসন পরিচালনার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা দাবি করেছিল, তৎকালীন স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণ-বিধ্বংসী মারণাস্ত্র রয়েছে এবং তিনি তা মার্কিনীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন।
এ ঘটনার প্রায় দীর্ঘ আট বছর পর ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাক যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ইরাকি ভূখণ্ড থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াশিংটন। যদিও তখন থেকে প্রশিক্ষণ ও সামরিক যন্ত্রপাতি পরিচালনার নামে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা সদস্যদের ইরাকেই রেখে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরাক থেকে তাদের সকল সেনা প্রত্যাহার করে নেয়; তাহলে দেশটির ওপর মার্কিনীদের আর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। যে কারণে অঞ্চলটিতে তাদের আধিপত্য বিস্তার অব্যাহত রাখতে নানা অজুহাতের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক হলেও তাদের সেনা সদস্যদের এখানে রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন :- ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে সরকার-বিরোধী জোটের আলোচনা শুরু
তবে মার্কিন সরকারের এসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরাকের অসংখ্য রাজনীতিবিদ বারংবার প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, ইরাকে বিদেশি সেনা বিশেষ করে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা কী? একইসঙ্গে তারা ইরাক থেকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন সরকারের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : 'রয়টার্স'
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড