• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ মে ২০১৯, ০৯:৩৫
অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচন
অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন একজন ভোটার। (ছবিসূত্র : এবিসি নিউজ)

এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। শনিবার (১৮ মে) স্থানীয় সময় সকাল থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় এই ভোটের যাবতীয় কাজ। এবারের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা স্কট মরিসন এবং লেবার পার্টির নেতা বিল শর্টেনের মধ্যেই মূল লড়াইটা হবে বলে এরই মধ্যে পূর্বাভাস মিলেছে।

অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ভোটের দিন সকালের এই দুই নেতা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। যেখানে তারা নিজেদের বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যদিও এবার ঠিক কোন দল জয় পেতে যাচ্ছে তার পূর্বাভাস এখনই দেওয়া সম্ভব নয় বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হলে প্রতিটি দলকে পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের (নিম্ন কক্ষ) ১৫১টি আসনের মধ্যে অবশ্যই কমপক্ষে ৭৬ আসনে জয় পেতে হবে। ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থী লিবারেল-ন্যাশনাল জোট যদিও এখন পর্যন্ত অনেক কম আসন নিয়ে সরকারে টিকে রয়েছে।

বিশ্লেষকদের দাবি, এবারের ভোটে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের লিবারেল-ন্যাশনাল জোট এবং বিরোধী নেতা বিল শর্টেনের মধ্য-বামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির (এএলপি) মধ্যেই মূল লড়াইটা অনুষ্ঠিত হবে বলে আগে থেকেই আভাস পাওয়া গেছে। যদিও ভোটের আগে জনমত জরিপগুলো থেকে জানা যায়, সম্প্রতি সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা করায় এবার বিরোধী দল লেবার পার্টিই নির্বাচনি দৌরে অনেকটা এগিয়ে আছে।

অজি আইন অনুযায়ী, দেশটিতে ১৮ বছর বয়সের ওপরে সবারই ভোট দেওয়া এক রকম বাধ্যতা মূলক। সে হিসাবে এবার প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যা দেশটির জন্য নতুন এক রেকর্ড।

অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি তিন বছর পরপর সরকার পুনরায় গঠনের জন্য সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যদিও ২০০৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রীই নিজের পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। যে কারণে নির্বাচনে জয় লাভ করলেও বিজয়ীদের পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই হচ্ছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

এ দিকে গত শুক্রবার (১৭ মে) সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের জনমত জরিপে দেখা যায়, এবার ক্ষমতাসীন জোটের চেয়ে ৫১-৪৯ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। যার ফলে এরই মধ্যে দেশটিতে সরকার পরিবর্তনের একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন :- টুইটারে নিষিদ্ধ হলেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান

বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোর দাবি, এবারের নির্বাচনে ভোটাররা তাদের অর্থনীতি, জীবন যাত্রার খরচ, পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই নিজেদের ভোট প্রদান করবেন। অপর দিকে তরুণ ভোটাররা তাদের ভোট দিবেন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুটি বিবেচনা করে।

সূত্র : বিবিসি নিউজ

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড