আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নির্যাতনের শিকার হলে নারীরা আইনের দ্বারস্থ হয় বিচারের আশায়, তবে, সেই আইনি পেশায় থাকা নারীরাই যদি যৌন হয়রানির শিকার হয়, তখন! আইনি পেশায় যৌন হয়রানি সম্পর্কে বিশ্বের বৃহত্তম জরিপে দেখা গেছে, তিনজন নারীর একজন তাদের বস এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে হয়রানির শিকার হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে উল্লিখিত হয়রানির শিকার ৭৫ শতাংশ এ নিয়ে কথা বলতে সম্মত হয়নি, এমনকি অভিযোগও জমা দেয়নি। এদের অর্ধেকের বেশি 'প্রতিক্রিয়ার ভয়ে' কিংবা হয়রানিকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিধায় অভিযোগ জানাতে সাহস পায়নি।
রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বে আইনি পেশায় যৌন হয়রানির মধ্যে প্রায় সাত শতাংশের শিকার হয় পুরুষ মানুষ। সুইডিশ ল ফার্মের একজন বলে, 'আমি অভিযোগ করিনি কারণ, কে বিশ্বাস করবে যে একজন পুরুষ যৌনতায় অসম্মতি জানায়।'
প্রতিবেদনটি উল্লেখ করেছে যে, হলিউড মুগল হার্ভে ওয়েইনস্টাইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া #মিটু আন্দোলনকে অনেক শিকারই ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আইবিএ জানায় যে, পুরুষ এবং মহিলাদের যারা হয়রানির রিপোর্ট করেছে তারা প্রায়শই তাদের নিয়োগকর্তার প্রতিক্রিয়া দেখে হতাশ বোধ করে। ১৩০ পৃষ্ঠার রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, 'যৌন হয়রানির তিন-চতুর্থাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। অর্ধেকেরও বেশি ক্ষেত্রে, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত বা আরও অবনতি হয়েছিল।'
১৩৫টি দেশ থেকে ৭ হাজার উত্তরদাতাদের জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এই জরিপ পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর ব্যাপকভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে করা হয়েছে এবং এই গ্রুপটি বলেছে যে, এই গবেষণায় অংশ নেয়া দেশগুলোর অনেক স্থানে এসব নিষিদ্ধ বা যেখানে এমন হয়রানি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে সেখানে উত্তরদাতারা প্রয়োজনীয় উত্তর দিতে পারেনি।
এটি 'প্রগতিশীল' দেশগুলোতে যৌন হয়রানিকে ব্যাপক প্রচলিত বলে মনে করে যেসব দেশে যৌন অপরাধের বিষয়ে আরও খোলাখুলিভাবে কথা বলা হয়। এই সমস্যাকে এরা একটি 'উপলব্ধির প্যারাডক্স' বলে। কিন্তু, যেকোনো আইনি পেশায় যৌন হয়রানির সর্বাধিক বিস্তৃত মূল্যায়ন হয়েছে বলে আইবিএ জোর দিয়ে তাদের বিশ্লেষণে দাবি করেছে।
আইবিএ জানায়, হয়রানি হচ্ছে 'মানুষকে তাদের কর্মক্ষেত্র থেকে সম্পূর্ণভাবে হটিয়ে দেয়া এবং পেশাটিকে সম্পূর্ণরূপে হয়রানির মধ্যেই চালানো। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এই ফলাফল ... উপেক্ষা করা যাবে না।' 'এএফপি'
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড