আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই অমিত শাহের রোড শো ঘিরে ধুন্ধুমার হয়েছে কলকাতায়। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিদ্যাসাগরের ভাস্কর্য ভাঙার দায় কার, তা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে চলছে তীব্র উত্তেজনা। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ফের ভোটপ্রচারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের প্রচারের প্রায় প্রতিটি সভাতেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন মোদী। কখনো 'স্পিডব্রেকার দিদি' বলে খোঁচা দিয়েছেন, কখনো বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে এনেছেন সিন্ডিকেট-তোলাবাজির অভিযোগ। তার মধ্যেই মঙ্গলবার অমিত শাহের রোড শোয়ে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। এই উত্তপ্ত রাজনৈতিক বাকযুদ্ধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন, তার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
বসিরহাট কেন্দ্রের টাকিতে নির্বাচনি সভায় যোগ দিয়েছেন মোদী। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে সায়ন্তন বসুকে। তার প্রতিপক্ষ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নুসরত জাহান। মূল লড়াই এই দুজনের মধ্যে হলেও ময়দানে রয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী কাজি আবদুর রহিম এবং সিপিএমের পল্লব সেনগুপ্ত।
টাকিতে মোদী বলেন, এই বাংলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজির মতো মহাপুরুষরা জন্মেছেন, তারা দিদির এই একনায়কতন্ত্র ক্ষমা করবে না। সব মিলিয়ে এনডিএ কোথায় যাবে, তা ভেবে দেখুন দিদি। পুরো ভোট শেষে একা বিজেপিই ৩০০র বেশি আসন পাবে, আর তাতে পশ্চিমবঙ্গের বড় ভূমিকা থাকবে। দিদি, আপনি জেনে রাখুন, ষষ্ঠ দফা পর্যন্তই বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে।
আজ দিদি নিজের ছায়া দেখেই কাঁপছেন, তার পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে এমন অভিযোগ এনে মোদি বলেন, সেই কারণেই আপনার গালি এবং হুমকির কোনো ফল আমার ওপর পড়ে না। আপনি জানেন না, মোদীকে রক্ষা করার জন্য ১৩০ কোটি দেশবাসী রয়েছেন। আপনি কি মনে করেন, মোদী আপনার গালাগালিতে ভয় পাবে। আর যখন রাজ্যবাসী প্রশ্ন তুলছেন, তখন আপনি গালি দিচ্ছেন। চিট ফান্ডের লুটেরাদের বাঁচাতে আপনি রাস্তায় বসে পড়ছেন। আর উনি যে অ্যাজেন্ডা নিয়েছিলেন, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অমিত শাহের রোড শোয়ে হামলা চালিয়েছেন দলের কর্মীরা।
মমতা দিদি দু-দিন আগেই বলেছিলেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবেন, এটা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এতটাই ঘাবড়ে গিয়ে কোন পর্যায়ে নেমেছেন, সেটাও দেশবাসী দেখছে। বন্ধুরা, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ঢেউ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন বলে যুক্ত করেন মোদী।
ওডি/এসএমএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড