• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কাবুলে তালিবান-মার্কিন শান্তি বৈঠক শুরু

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০১ মে ২০১৯, ১৬:২০
তালিবান-মার্কিন শান্তি বৈঠক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অনুষ্ঠিত তালিবান-মার্কিন শান্তি বৈঠক। (ছবিসূত্র : জার্নাল গেজেট)

আফগানিস্তানে টানা ১৭ বছর যাবত চলা যুদ্ধের ইতি টানতে রাজধানী কাবুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালিবান কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়েছে। এবারের শান্তি আলোচনায় মূলত দুপক্ষের যাবতীয় স্বার্থ নিশ্চিত করতে আফগান সরকার দুর্লভ এই সমাবেশটির আয়োজন করেছে।

এর আগে বিদ্রোহী সংগঠন তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তানে থাকা তাদের প্রতিনিধিরা কাতারের রাজধানী দোহায় আয়োজিত ছয় পর্বের মার্কিন-তালিবান বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘এই বৈঠকগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবান প্রতিনিধি ছাড়া অন্য আর কোনো পক্ষের লোকজন থাকতে পারবে না। তবে কাতারের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা এখানে হোস্ট হিসাবে উপস্থিত থাকার সুযোগ পাবেন।’

হোয়াইট হাউসের দাবি, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে শুরু হওয়া দীর্ঘতম এই যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে এবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত তারই সরাসরি হস্তক্ষেপে এই শান্তি আলোচনার সূত্রপাত।

যার অংশ হিসেবে গত বছরের অক্টোবর মাসের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবান কর্মকর্তারা বেশ কয়েক দফায় বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। মূলত তাদের সেই বৈঠকগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আফগানিস্তানকে কোনো ধরনের হুমকির মুখে না ফেলে তালিবানদের জন্য মার্কিন বাহিনীর নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করা।

কাবুলের একজন পশ্চিমা কূটনীতিক বলেন, ‘বুধবারের (১ মে) এই বৈঠকে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মার্কিন বিশেষ দূত জালিম খলিল-জাদ এবং তার প্রতিনিধিরা দল অংশ নিয়েছেন। আমরা ধারণা করছি এবার তারা যুদ্ধ শেষ করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তালিবান সদস্যদের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার উপর মনোনিবেশ করাতে সক্ষম হবেন।’

এদিকে মার্কিন দূত খালিল-জাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি যুদ্ধ শেষ করার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে প্রস্তুত। যে কারণে তিনি এর রাজনৈতিক বন্দোবস্ত খুঁজে পেতে আলোচনার মাধ্যমে পথ বের করে আনতে তালিবান সদস্যদের সাহায্য কামনা করছেন।’

এর আগে যদিও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় কাবুলের দেওয়া শর্তগুলো কাটিয়ে উঠতে ‘লোয়া জারগা’ নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। যা তখন আফগান রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায় বেশ তাৎপর্য বহন করেছিল।

আফগান প্রেসিডেন্টের বিশ্বাস, ‘লোয়া জারগা’র সমাবেশ সদস্যদের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে শান্তি আলোচনায় আফগানিস্তানের বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য সকল দাবিকে শক্তিশালী করবে।

এবারের সমাবেশে দেশটির ৩৪ অঞ্চলের প্রায় ৩২ হাজারের বেশি উপজাতীয় প্রধান, রাজনীতিবিদ এবং সম্প্রদায় ও ধর্মীয় নেত্রীবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। যদিও আফগানিস্তানের বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ ও সাবেক সমালোচক হামিদ কারজাই ইতোমধ্যে এই বয়কট করছেন।

অপরদিকে আফগান প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ওমর দাউজজাই বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে কাতারের মার্কিন-তালিবান আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই আলোচনা থেকে অবশ্যই কোনো না কোনো সুফল অবশ্যই আসবে।’

আরও পড়ুন :- ‘মুসলিম ব্রাদারহুডকে’ সন্ত্রাসী আখ্যা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রেসিডেন্টের এই দূত এও বলেছিলেন, ‘এবারের শান্তি আলোচনা সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত এবং যৌক্তিক একটি সূচনা। সমাবেশটি আফগানিস্তানে বিদেশি শক্তির ভূমিকা গুরুত্ব পাবে।

আফগানিস্তানে বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি সেনা মজুদ রাখা আছে। তারা মূলত জাতিসংঘের ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন মিশন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ, তালিবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধসহ ইসলামী রাষ্ট্র এবং আল-কায়েদার মতো চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে সহায়তা করছেন।

সূত্র : 'রয়টার্স'

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড