• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মুখোশধারী বন্দুকধারীরা ইউনিফর্ম পরা ছিল

পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা

পরিচয়পত্র দেখে শনাক্ত করে মাথায় গুলি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪১
পাকিস্তান
ছবি : ডয়েচে ভেলে

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের বেলুচিস্তানে এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে বাসটি করাচি শহর থেকে বন্দরনগরী গাদারে যাওয়ার সময় মুখোশ পরিহিত বন্দুকধারীরা বাস থামিয়ে লক্ষ্যদের বের করে নিয়ে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

মৃতদেহের পরীক্ষা করা বেলুচিস্তানের অর্মারার এলাকার সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মুসা 'আল-জাজিরা'কে বলেন, 'সবগুলোতেই বুলেটের আঘাত ছিল, অধিকাংশের মাথায় গুলি করা হয়।’

আঞ্চলিক স্বরাষ্ট্র সচিব হায়দার আলী 'এএফপি' নিউজ এজেন্সিকে জানান, হামলাকারী আর্মি মিলিটারি ফ্রন্টিয়ার কর্পসের ইউনিফর্ম পরিধান করা ছিলেন এবং গুলি চালানোর আগে যাত্রীদের বাস থেকে বের হতে বাধ্য করেছিলেন।

বেলুচিস্তানের ইন্সপেক্টর জেনারেল মহসিন হাসান বাটের মতে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র হামলাকারীরা করাচি ও গাদারের মধ্যে চলাচলকারী পাঁচ থেকে ছয়টি বাসের যাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে। একে একটি 'লক্ষ্যবস্তু হত্যা' (টার্গেটেড কিলিং) বলেই মনে হচ্ছে। হামলার শিকারদের সিএনআইসিএস (কম্পিউটারাজাইজড ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ডের) মাধ্যমে সনাক্ত করা এবং ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

বুজী শীর্ষ এলাকায় রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বন্দুকধারীদের একটি বাস থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয়পত্র যাচাই করে তাদের মধ্যে থেকে ১৬ জনকে বাস থেকে নামিয়ে নেয়। স্থানীয় কর্মকর্তার জাহাঙ্গীর দস্তি বলেন, কয়েক ডজন মানুষ বাসে ভ্রমণ করছেন।

কমপক্ষে ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যখন দুই যাত্রী গণহত্যা থেকে পালিয়ে গিয়ে নিকটতম লেভিস চেকপোস্টে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ওমারা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, নিহতদের মধ্যে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও উপকূলীয় তত্ত্বাবধায়ক সদস্য ছিলেন।

লেভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। নূর বাকশ হোটেল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

পাকিস্তানের 'ডন' জানায়, যাত্রীরা কোস্টাল হাইওয়ে হয়ে দেশটির দক্ষিণের করাচি শহর থেকে গাদার বন্দর শহরে যাচ্ছিলেন। ওরমারা এলাকার কাছাকাছি গেলে হঠাৎ তাদের বাসটি মুখোশধারী বন্দুকধারীর হামলার শিকার হয়।

গাদারের জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসিফ শাওয়ানি 'আল-জাজিরা'কে বলেন, 'এটি খুবই প্রত্যন্ত এলাকা, ওরমারা নিকটতম শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এবং গাদার থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত'। এখনো পর্যন্ত হত্যার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

ওডি/এসএমএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড