আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব রাজনীতির ময়দান থেকে বেশ কিছু দিন দূরত্ব বজায় রাখলেও বুধবার (১৭ এপ্রিল) তাকে দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের সঙ্গে। এ দিন যোগগুরুকে সঙ্গে নিয়েই রাজস্থানের জয়পুর গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। শুধু সঙ্গ দেওয়াই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতে বিজেপিতে ভোট দেয়ার পক্ষে আহ্বানও জানান তিনি। 'আনন্দবাজার'
২০১৪ সালে বিজেপির প্রচার ব্রিগেডের একদম প্রথম সারিতেই ছিলেন বাবা রামদেব। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে মোদীর হয়ে প্রচারণা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে, তাদের সখ্যতা বেশিদূর গড়ায়নি, গত বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপি শিবিরের সঙ্গে যেন দূরত্ব বেড়েই চলছিল রামদেবের।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরেই একটি অনুষ্ঠানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল : আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে প্রচারে অংশ নেবেন কি না? প্রশ্ন শুনেই ফুঁসে ওঠে রামদেব বলেছিলেন, 'কেন করব প্রচার? আমি রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। আমি সব দলের সঙ্গে আছি, কোনো একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে নেই।' অবশ্য এখানেই শেষ নয়। কিছু দিন আগেই তিনি মন্তব্য করে বসেছিলেন, কে ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা নির্দিষ্টভাবে বলা খুবই কঠিন। রামদেবের এই মন্তব্যকে একটা ধাক্কা হিসেবেই দেখেছিল মোদীপন্থিরা। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবেই তিনি বিবেচিত ছিলেন।
বিজেপি এবং রামদেবের মধ্যে বাড়তে থাকা দূরত্ব যে কমেছে, তা টের পাওয়া গেল অবশ্য আজকেই। দেশটির রাজস্থানের জয়পুর লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের মনোনয়ন পেশের সময় রামদেব তাকে সঙ্গ দিলেন আগাগোড়াই। দেশের সুরক্ষা এবং জাতীয়তাবোধ, এই দুটি বিষয়ের জন্যই দেশবাসীর তার 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু'কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেতানো উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যোগগুরু রামদেবের কথায়, 'আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে হলে মোদীর হাত শক্ত করতে হবে। মোদীর হাতে থাকলে এই দেশ সুরক্ষিত, জওয়ানরা নিরাপদ, মহিলাদের সম্মান সুরক্ষিত এবং চাষিদের জমিও নিরাপদ।' একই সঙ্গে মোদীকে 'ভারতমাতার গর্ব' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মোদীকে সমর্থন করার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও এক হাত নেন রামদেব। আর সেই আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তার নিশানা ছিল রাহুল গান্ধীর ন্যায় প্রকল্প। তিনি বলেন, 'আসল ন্যায় এ বার দেখা যাবে। গ্রামে গ্রামে, বুথে বুথে ভোটাররা রাহুলকে বুঝিয়ে দেবেন আসন ন্যায়বিচার কাকে বলে।'
২০১৪ লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রামদেব শাসক শিবিরের এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন যে, তাকে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে দেয়া হয়েছিল পূর্ণমন্ত্রীর সমান পদমর্যাদা, গাড়ি, এসকর্ট কনভয়ও। সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্কে ভাটার টান এলেও এবারের ভোটের শুরুতেই বদলে গেল ছবিটা। যদিও রাজস্থান পেরিয়ে অন্যত্রও তিনি প্রচারে নামবেন কি না, সেই ইঙ্গিত আজ পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে।
ওডি/এসএমএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড