• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সাইক্লোন ইদাই : মোজাম্বিকের সড়কে লাশের সারি

  অধিকার ডেস্ক    ২২ মার্চ ২০১৯, ১৯:১৯

সাইক্লোন ইদাই
ছবি : সংগৃহীত

মোজাম্বিকের বাইরা শহরের বাহিরের সড়কে লাশের দীর্ঘ লাইনের দেখা মিলেছে; এক প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে জানা যায়। বন্যার পানিতে ভারত মহাসাগর মোজাম্বিকের এমন অবস্থা করেছে যা মহাশূন্য থেকেও দেখা যাবে। সাইক্লোন ইদাইয়ের আঘাতে মোজাম্বিকের যে মর্মান্তিক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জিম্বাবুয়ের গ্রাহাম টেইলর সম্ভাব্য মানবিক ক্ষতির সরকারি অনুমান ছাড়িয়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেন। 'সিএনএন'

টেইলর বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে যারা গত বৃহস্পতিবারে আফ্রিকার এই অঞ্চলে হাই এন্ড ক্যাটাগরি ২ সাইক্লোনে বিধ্বস্ত অঞ্চলের মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। টেইলর বলছে, মৃতদেহগুলো হাইওয়ে ট্র্যাকের ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক স্থানে দেখা যায়।

৬২ বছর বয়সী টেইলর মোজাম্বিকে ১০ বছর ধরে বাস করে আসছিল। জিম্বাবুয়ে থেকে বেইরার প্রধান সড়কে শনিবার তিনি আটকা পড়েন। যেখানে সাইক্লোন ইদাই ১ মিটার উঁচু পানিতে প্লাবিত হয় এবং ভূমিধসের সৃষ্টি করে।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে টেইলর তার গাড়ি ফেলে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের ঢলে যোগ দেন। অন্ধকারের মধ্যে তিনি কেবল শুনতেই পেয়েছেন, মানুষের ক্রন্দন আর গোঙ্গানি। ভোর হতেই সেই আর্তনাদের যৌক্তিকতা মেলে, এক 'ভয়ানক দৃশ্য' চোখে আটকে যায়। টেইলর বলেন, 'রাস্তার ওপরে বন্যার পানিতে সারি সারি লাশ ভেসে এসেছে। প্রধান সড়ক থেকে ভেসে এসে রাস্তাটি লাশে ১০ ইঞ্চি পুরু হয়ে যায়। লাশের গন্ধে সেখানে জীবন মর্মান্তিক অবস্থায় উপনীত হয়।' এখানে একসময় চিনি বীজের চাষ হতো সেই জনবহুল এলাকাটি একটি সামুদ্রিক দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে ভূমির ভগ্নাংশের এলাকাটি ঝড়ের পরের দিনগুলোতে দুটি প্রধান নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরে ভেসে গেছে। কেন্দ্রীয় মোজাম্বিকের বুজি শহরে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্যা হয়, এমন অবস্থা হয় যা মহাশূন্য থেকে নেয়া স্যাটেলাইট ইমেজেও দেখা যায়।

প্রায় ২ লাখ মানুষের আবাসস্থলটি সম্পূর্ণই ভেসে যায়, 'সিএনএনের কাছে বেঁচে যাওয়া লোকেরা জানায় তারা শুক্রবার প্রাইয়া নোভাতে নৌকাযোগে পৌঁছায়। সাইক্লোনের আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া আবিয়াস ফিলিপ বন্যাদুর্গত ছেকিজানা গ্রাম থেকে নোভাতে পৌঁছায়। তিনি বলেন, 'এটা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখানে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছানো শুরু করেছে।'

'তারা কেবল আসা শুরু করেছে, কিন্তু, এখনও অনেক মানুষ তাদের বাড়িতে আটকা পড়ে আছে। তারা বলছে, আজ এবং আগামীকাল এখনও অনেক বন্যা হওয়া বাকি আছে।'

এক সপ্তাহের বেশি পার হয়ে যাওয়ার পরেও, জাতিসংঘের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী মোজাম্বিকে ২৪২, জিম্বাবুয়েতে ২৫৯ এবং মালওয়াইতে ৫৬ জনের নিশ্চিত মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে। যোগাযোগের অভাবে এবং অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ার ফল সর্বশেষ অবস্থার তথ্য পেতে বিলম্ব হচ্ছে। গত সোমবারে মোজাম্বিকান প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ন্যুসি বলেন, 'যাবতীয় পরিস্থিতিতে আমাদের রেকর্ড ১ হাজার মৃত্যুর ইঙ্গিতই দেয়।'

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড