আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যৌন নির্যাতনের দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্রিষ্টান ধর্মযাজকের পদবী প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন রাজ্যের একটি চার্চে গত পাঁচ বছর যাবত আর্চবিশপের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
থিওডোর ম্যাককারিক নামের সেই যাজক এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উচ্চ পদবীধারী এবং প্রভাবশালী কোনো ক্যাথলিক ব্যক্তিত্ব যার পদবী কেড়ে নেওয়া হল। চার্চ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের বরাতে করা প্রতিবেদনে এই ধর্মযাজকের পদবী প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটেন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের চার্চ ব্যবস্থায় যৌন নির্যাতনের নানা কাহিনী বিশ্বব্যাপী শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে চার্চের পাদ্রী, ধর্মযাজক এবং অন্যান্য সব ব্যক্তিত্বদের দ্বারা শিশুদের যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারিতে বর্তমানে জর্জরিত ক্যাথলিক চার্চ।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক বিশপদের সংঘ জানিয়েছে, ‘যেকোনো বিশপ সে যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। ম্যাককারিক এতদিন যত নির্যাতন চালিয়েছেন তার ক্ষত নিরাময়ে এটি একটি ছোট ধাপ মাত্র।’
এদিকে ভ্যাটিকান থেকে বলা হয়, ‘পোপ ফ্রান্সিস তার বহিষ্কারের ব্যাপারে ইতোমধ্যে একটি চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে পরবর্তীতে কোনো আপিলের সুযোগ রাখা হয়নি।’
অপরদিকে মার্কিন চার্চ কর্তৃপক্ষের মতে, সেই ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে এক কিশোরকে গত পাঁচ দশক আগে যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে এখন তার বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়া গেছে। চার্চের এই ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে আরও বেশ কজন পুরুষ কর্মী অভিযোগ করে বলেছেন, ধর্মযাজক হওয়ার জন্য আমরা যখন পড়াশোনা করছিলাম তখন থিওডোর ম্যাককারিক আমাদের যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছেন।’
উল্লেখ্য, এসব অভিযোগ ওঠা মাত্র এমনিতেই চার্চের যাবতীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেছেন ম্যাককারিক। ১৯২৭ সালের পর তিনিই প্রথম পদত্যাগ করা কোনো কার্ডিনাল।
৮৮ বছর বয়সী ম্যাককারিক বলেন, ‘আমি এমন কিছু কখনো করেছি কিনা তা এখন আর মনে করতে পারছি না। তবে যেহেতু আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে তাই আমি স্বেচ্ছায় চার্চের সকল কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করছি।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড