• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নির্বাচনপূর্বে বিরোধীরা একাট্টা, জাতিগত বিদ্বেষ কৌশলেই বিপাকে সু চি

  অধিকার ডেস্ক    ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:১০

মিয়ানমার
ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের ‘অবিসংবাদিত’ নেত্রী অং সান সু চি দেশটির জাতিবিদ্বেষ, সংঘাতের ঘোলা জলে নিজেই ডুবতে বসেছেন। তার 'কট্টর জাতীয়তাবাদের' বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের প্রভাবশালী দলগুলো। আগামী ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনেই সু চিকে ক্ষমতার গদি থেকে ছিটকে ফেলতে ছোট-বড় প্রায় সব দলই এক ছাতায় আসছে। 'রয়টার্স'

মিয়ানমারের রাখাইন, শানসহ অন্যান্য প্রদেশের জাতিনিধন সংঘাত এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এই মুহূর্তে জনগণের কাছে সু চির দলের যে অজনপ্রিয়তা সেটাকেই কাজে লাগাচ্ছে বিরোধী পক্ষ ও দলগুলো। নভেম্বরের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের তুলনামূলক খারাপ ফলাফলও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে আশাবাদী করে তুলেছে। বসে নেই সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিও (এনএলডি)। আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে এখন থেকেই জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে।

বার্মার জাতির পিতা জেনারেল অংশানের মেয়ে সু চির দলের জন্য যারা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে তাদের মধ্যে ইউনিয়ন বেটারমেন্ট পার্টি অন্যতম। সেনাঘনিষ্ঠ ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাবেক প্রধান শ মান এ দলটি গড়ে তুলেছেন। মিয়ানমারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সাবেক স্পিকার মান ২০১৫ সালে জান্তাঘনিষ্ঠ দলটি থেকে পদচ্যুত হয়েছিলেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে সু চির মিত্রতা দেখা গেলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার ইউনিয়ন বেটারমেন্ট পার্টি ক্ষমতাসীনদের অন্যতম বড় সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সু চির এনএলডির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাজির হতে পারে কো কো গির পিপলস পার্টিও। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন জান্তা শাসনের বিরুদ্ধে হওয়া ছাত্র বিক্ষোভের অন্যতম নেতা কো কো অন্যান্য জাতিগত দলের সঙ্গে জোট গড়ে তোলারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কো কো বলেছেন, ‘আমরা এককভাবে না জিততে পারলেও পার্লামেন্টে জোট হিসেবে থাকতে পারি। সেখানে আমরা একসঙ্গে থাকব এবং আমাদের ভোট যেন দ্বিধাবিভক্ত না হয় সেজন্য চেষ্টা চালাব’। ২০১৫ সালের নির্বাচনে রাখাইনে ভালো ফল করা আরাকান ন্যাশনাল পার্টিও ক্ষমতাসীনদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

দেশটির স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো না দেয়ায় এ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও তুমুল ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। রাখাইনে সমানাধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান থাজিন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও অং থান 'আমরা, বিভিন্ন জাতির মানুষ, আমরা দেখেছি আমাদের তারা কেমন মূল্য দেয়। আগের মতো এবার আর ভূমিধস বিজয় পাচ্ছে না তারা।'

মিয়ানমারের সংঘাত কবলিত রাখাইন প্রদেশের উত্তর রাখাইনে সদর দফতর স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন গোষ্ঠীটির প্রধান মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড