আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে আবারো শুরু হয়েছে ধরনা বা অনশনের রাজনীতি! সম্প্রতি গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে তিন দিনের জন্য ধরনায় বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার তার রেশ কাটতে না কাটতেই দিল্লিতে অনশনে বসে পড়েছেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। পার্টির নেতাদের দেওয়া তথ্যের বরাতে করা প্রতিবেদনে অন্ধ্র প্রদেশের এই মুখ্যমন্ত্রীর ধরনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে কেন্দ্র সরকারের কাছে রাজ্যের জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে রাজধানী দিল্লিতে এক দিনের জন্য বিশেষ প্রতীকী অনশনে বসে পড়েন তিনি। যার প্রেক্ষিতে পরদিন মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বরাবর একটি স্মারকলিপিও দিতে পারেন তিনি।
টিডিপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সোমবার সকালে রাজঘাটে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু। পরে সেখান থেকে তিনি সকাল সাড়ে আটটায় অন্ধ্র ভবনে অনশন শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে এই প্রতীকী অনশনে যোগ দেন দলের সাংসদ, বিধায়ক ও রাজ্যের সরকার কর্মীদের বেশ কিছু সংগঠনও।
দলটির এ নেতা আরও বলেছেন, ‘এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন সময়ে চন্দ্রবাবুর অনশন মঞ্চে এসে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদব, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা মজিদ মেনন, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, লোক তান্ত্রিক জনতা দল নেতা শরদ যাদব-এর মতো নেতারা। তাছাড়া অন্ধ্র প্রদেশের এ মুখ্যমন্ত্রীর অনশনকে সমর্থন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।’
এদিকে অনশন মঞ্চ থেকে অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু বলেন, ‘রাজধর্ম পালন করছে না কেন্দ্রের মোদী সরকার। বিশেষ মর্যাদার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা এখনো পায়নি অন্ধ্র প্রদেশ। এই রাজ্যের সঙ্গে চূড়ান্ত অন্যায় করা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এসব সমস্যা নিরসন করা হবে ততক্ষণ আমার এ ধরনা চলবেই।’
অপরদিকে অনশন মঞ্চে উপস্থিত হয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ‘অন্ধ্র প্রদেশের মানুষের কাছ থেকে রুপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনিল আম্বানীকে দিয়েছেন। যেখানেই তিনি যান, শুধুই মিথ্যা কথা বলেন। অন্ধ্র প্রদেশের বিশেষ মর্যাদা নিয়েও তিনি মিথ্যা কথা বলেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার সময় সেই জোটের শরিক দল ছিল চন্দ্রবাবুর টিডিপি।
তবে অন্ধ্র প্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদা না পাওয়ায় ক্ষমতা গ্রহণের দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এনডিএ’র সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে টিডিপি। মূলত এর পর থেকেই মোদী বিরোধী নেতা হিসাবে জনসম্মুখে চলে আসে চন্দ্রবাবুর নাম। যা এখনো অব্যাহত আছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড