• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি

রাখাইন রাজ্যে সেনারা মানবিক সহায়তা আটকে দিচ্ছে

  অধিকার ডেস্ক    ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩৪

মিয়ানমার
বিভিন্ন গ্রামে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে, আটক করা হচ্ছে বেসামরিকদের। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে মর্টার শেল নিক্ষেপ, বেসামরিক নাগরিকদের আটক ও খাবার সরবরাহ আটকে দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রাখাইনভিত্তিক সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই এসব তৎপরতা চালাচ্ছে দেশটির সেনা সদস্যরা। এসব সেনা ইউনিটের কয়েকটি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নেও অংশগ্রহণ করেছিল। 'দা গার্ডিয়ান'

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রামবাসী ও স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্টদের বরাৎ দিয়ে জানিয়েছেন, বাড়িঘর লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। গোলা নিক্ষেপের স্থানীয়রা পরিত্যক্ত বাড়ি ঘরে মূল্যবান সামগ্রী লুট করতে আসে এবং ধ্বংস করে যাচ্ছে। ৪ জানুয়ারি ফাঁড়িতে আরাকান আর্মির হামলায় ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর রাখাইনে সামরিক অভিযান জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, অভিযান শুরুর পর সংঘাত কবলিত এলাকা থেকে ৫২০০ জনের বেশি মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। কয়েক শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী বাংলাদেশে।

দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ নতুন ঘটনা নয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে।

সেনাবাহিনীর এমন জাতিগত নিধনযজ্ঞের বাস্তবতার বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় এগারো লক্ষাধিক। এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে।

যুক্তরাজ্যের মানবাধিকা সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস রেসপন্স বিভাগের পরিচালক তিরানা হাসান বলেন, 'এই অভিযান আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবাধিকারের প্রতি কোনও সম্মান ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। যেকোনও পরিস্থিতিতে গ্রামীণ বসতিতে গোলাবর্ষণ ও খাদ্য সরবরাহ আটকে রাখা অযৌক্তিক। সেনাবাহিনীর নৃশংসতার আন্তর্জাতিক নিন্দার পরও তারা নির্লজ্জভাবে আরও গুরুতর নির্যাতন চালাচ্ছে।'

সেনাবাহিনীর যে ডিভিশনগুলো ২০১৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতায় জড়িত ছিল তাদেরকেই পুনরায় রাখাইন রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানতে পেরেছে এমন তথ্য বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড