• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এক ঘন্টাও বাঁচবে না সন্তান, তবু শিশুটির জন্ম দিলেন মা

  অধিকার ডেস্ক    ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২২

ক্রিস্টা ডেভিস ও ডেরেক লভেট দম্পতি
ক্রিস্টা ডেভিস ও ডেরেক লভেট দম্পতি (ছবি: দ্য ডেইলি এডভারটাইজার)

আকাঙ্ক্ষিত সন্তান আসছে পৃথিবীতে এমন খবর যে কোনও বাবা-মায়ের জন্যই আশীর্বাদ। পরিবারের সবচেয়ে ছোট্ট সদস্যকে ঘিরে জুড়ে থাকে কত না জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু যখন বাবা-মা শিশুর জন্মের আগেই জানতে পারেন সন্তান বাঁচবে মাত্র এক ঘন্টা তখন তাদের ভালো থাকার মত কোনও অবস্থাই থাকে না।

কষ্টদায়ক এ ঘটনাটি ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ক্রিস্টা ডেভিস ও ডেরেক লভেট দম্পতির সাথে। গর্ভাবস্থার ১৮ সপ্তাহে তারা জানতে পারেন জন্মের পর তাদের সন্তান বাঁচবে মাত্র এক ঘন্টা। কারণ বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুটির মস্তিষ্ক ও করোটির কিছুটা অংশ তৈরি হবে না কখনোই।

চিকিৎসক তাদের এই তথ্য জানানোর সাথে সাথে এও বলেছিলেন যে তাদের সামনে দুইটি পথ খোলা আছে। প্রথমত, গর্ভে বাড়তে থাকা সময়েই শিশুটিকে বের করে আনা। নয়তো, শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

দ্বিধাদ্বন্দ্বে থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিস্টা ও ডেরেক দম্পতি সিদ্ধান্ত নিলেন তারা সন্তানকে জন্ম দেবেন। আর জন্মের পরেই শিশুটির অঙ্গ তারা দান করে দেবেন।

kid

জন্মের পর রায়েলি বেঁচে ছিল সাত দিন (ছবি: নিউজচ্যানেল নাইন ডট কম)

এ বিষয়ে ক্রিস্টা জানান, চিকিৎসকরা বলেই দিয়েছিলেন নাড়ি কাটার পরে আমার সন্তান এক ঘণ্টাও বাঁচবে না। তবু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মেয়েকে আমরা পৃথিবীতে আনবই। একজন মা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল অনেক কঠিন।

শিশুটি বাঁচবে না এমন ধারণা নিয়ে চিকিৎসকরা নাড়ি কাটার আগে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন। সকল আশঙ্কা দূর করে, বাবা-মা এবং চিকিৎসক দলকে অবাক করে দিয়ে শিশুটি জন্মের পর থেকে একাই শ্বাস নিতে থাকে। বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাকে আলাদা করে রাখতে হয়নি বরং তাদের সাথে সে সাতদিন পর্যন্ত ছিল। শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল রায়েলি।

জন্মের পর শিশুটি বাঁচবে না এমনটি ভেবে চিকিৎসকরা অঙ্গদানের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু সাতদিন পর্যন্ত তাদের সে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়নি।

অন্যান্য শিশুরা জন্মানোর সময় তাদের মুখ নিচের দিকে থাকে। কিন্তু রায়েলির এমনটা হয়নি। সে জন্মানোর সময় তার মুখ উপরের দিকে ছিল। আর এর জন্যই বেঁচে যায় সে। রায়েলির হৃৎপিন্ডের দু’টি ভাল্ব অন্য দুই শিশুকে দেওয়া হয়। আর তার ফুসফুস দান করা হয়েছে গবেষণার জন্য।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড