অধিকার ডেস্ক ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৩০
মাত্র তিনদিনেই আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে জাতিগত সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৮৯০ জন। 'বিশ্বস্ত সূত্রের' বরাত দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলে, গত মাসে মাত্র ৩ দিনে দেশটির যুম্বি্র ৪টি গ্রামে বানুনু ও বাতেন্দে সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।' 'বিবিসি নিউজ'
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর যুম্বিতে এই সহিংসতার কারনে ৩০ ডিসেম্বরের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন পেছানো হয়। গেলো ২০১৮ সালের ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যার ফলে যুম্বির অধিকাংশ এলাকার মানুষ স্থানচ্যুত হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলছে, প্রায় ৪৬৫ বাড়িঘর ও ভবন জ্বালিয়ে ও ভেঙে ফেলা হয়, যার মধ্যে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হেলথ পোস্ট, একটি বাজার এবং দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের এক কার্যালয় রয়েছে। দাঙ্গায় সৃষ্ট বাস্তুচ্যুত প্রায় ১৬ হাজার মানুষ কঙ্গো নদী পার হয়ে প্রতিবেশী প্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো যা কঙ্গো-ব্রাজ্জাভিলে নামে পরিচিত দেশটিতে আশ্রয় চেয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট। ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বলেন, 'এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক, এই হিংসাত্মক সহিংসতার কারণ অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা উচিৎ এবং অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।'
প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সহিংসতায় কমপক্ষে ৮২ জন আহত হয়েছে, জাতিসংঘের মতে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। মানবাধিকার সংস্থার কার্যালয় একটি তদন্ত পরিচালনা শুরু করেছে বলে জানায়। মায়-দম্বে প্রদেশের যুম্বি সাধারণতে একটি শান্তিপ্রিয় এলাকা হিসেবেই পরিচিত।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পাশাপাশি পূর্ব উত্তর কিউভ প্রদেশের বেনী ও বুতেম্বোতে নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তাহীনতা এবং ইবোলা প্রাদুর্ভাবের কারণ দেখিয়ে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করেছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড