আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ভারতের বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক ড. জাকির নায়েককে দেশটিতে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে শেষ পর্যন্ত জটলা লেগেই থাকল। মালয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে দেশটিতে বসবাসরত ধর্ম প্রচারক ড. জাকিরকে ফিরিয়ে নিতে গেলে ভারতকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আরও বেশি নথি ও প্রমাণ প্রদর্শন করতে হবে।
মালয়েশিয়ার ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দেওয়া বক্তব্যের বরাতে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছর খানেক আগে বিতর্কিত এ ধর্ম প্রচারককে ভারতে ফিরিয়ে নিতে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল দিল্লি। তবে গত বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ভারত সফরে আসেন মালয়েশিয়ার এ ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, 'বিষয়টি বর্তমানে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই ভারতের কাছ থেকে আরও বেশি তথ্য ও প্রমাণ চাই।'
এর আগে ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশানস্থ হোলি আর্টিজেন রেস্তোরায় হামলাকারী জঙ্গিদের বেশ কয়েক জন ড. জাকির নায়েকের প্রচারে প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সে সময় ড. জাকির সেই অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, 'আমি শান্তির দূত এবং কখনো সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দিইনি।'
সেই থেকেই বিদেশের মাটিতে বসবাস করতে শুরু করেন ড. জাকির। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করছেন। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ইউএপিএসহ ফৌজদারি দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
একইসঙ্গে ২০১৭ সালে বিতর্কিত এ ধর্ম প্রচারকের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারির আবেদন করেছিল ভারত। তবে তাদের সে প্রচেষ্টাকেও আটকে দিয়ে ইন্টারপোল সাফ জানিয়ে দেয়, ‘ড. জাকিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণই দিতে পারেনি দিল্লি। তাছাড়া এতে কোনো আইনি প্রক্রিয়াও ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি।’
যদিও আনোয়ার ইব্রাহিম এবারের ভারত সফরে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে পুরোপুরি হতাশ হয়েছে দিল্লি। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, মালয়েশিয়া সরকারের গোটা বিষয়টি আরও ভালো করে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা ভারতের অনুরোধের দিকটিকে সম্মান করছি। তবে আমাদেরও কিছু আইন-কানুন রয়েছে।'
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড