জাপানে শ্রমিক নিয়োগ, প্রাথমিক তালিকায় নেই বাংলাদেশ

এশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক দেশ বলতে যাদের নাম মাথায় আসে তাদের মধ্যে সর্বাগ্রে থাকবে জাপান। প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যেকোন পশ্চিমা দেশের থেকেও অনেক এগিয়ে থাকা দেশটি এখন জনসংখ্যা সংকটে। যার ফলে দেশটির গতিশীলতায় ভারসাম্য রাখতে বিদেশী শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দেয়। তাই বিদেশি নাগরিকদের আরও বেশি আগ্রহী করে তোলার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান সরকার।

জাপানে গিয়ে কর্মীরা যেন আরও ভালোভাবে থাকতে পারে সে সম্পর্কিত পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ জানায়, মঙ্গলবার এসব পদক্ষেপ নেয় জাপান সরকার। বিদেশি কর্মীদের জাপানে আসতে উৎসাহিত করার জন্য মন্ত্রীদের সব ধরনের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বিদেশিরা বড় শহরগুলোর পাশাপাশি ছোট শহরগুলোতেও যেন আসে সে বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

শান্তিপূর্ণ দেশটিতে বর্তমান বৃদ্ধের সংখ্যা তরুণদের তুলনায় বেশি, যার ফলে দেখা দিয়েছে কর্মী সংকট। তাই, ক্রমবর্ধমান কর্মী সংকটের কারণে আগামী পাঁচ বছরে বিভিন্ন খাতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বিদেশী কর্মী নেয়ার কথা জানায়। এজন্য প্রাথমিকভাবে নয়টি পূর্ব এশীয় দেশকে নির্বাচন করা হয়েছে। এগুলো হলো- কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম।

জাপানে কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। তবে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জাপানে নেয়ার আশ্বাসের মাধ্যমে কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে একটি মহল। এ কারণে বিষয়টি সম্পর্কিত একটি সতর্কবার্তা দিয়েছে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস।

জাপানে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কোন আর্থিক লেনদেন কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার জন্য টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাস অনুরোধ করছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৮টি দেশের পাশাপাশি আরও একটি দেশ থেকে কর্মী নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। ওই তালিকায় বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও হয়।

দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় যে, জাপানে সরাসরি কর্মী নিয়োগ কিংবা টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে যে কোন তথ্য জানার জন্য সরাসরি টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।