অধিকার ডেস্ক ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:১২
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নতুন তারিখের প্রস্তাব দিলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝিই পার্লামেন্টে চূড়ান্ত হবে কীভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে যুক্তরাজ্য। থেরেসা মে বলেন, ৭ জানুয়ারি এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হবে। পরের সপ্তাহে শুরু হবে ভোট।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার মাত্র ১৪ সপ্তাহের কিছু বেশি সময় বাকি, যার ফলে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে পার্লামেন্টের অনেক সদস্যই চিন্তিত। থেরেসা মে'র দাবি, ব্রেক্সিট চুক্তির বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। গত সপ্তাহে ইইউ সম্মেলনে গিয়ে তিনি নতুন করে আশ্বাস এবং নিশ্চয়তা পেয়েছেন।
২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারিতে শুরু হওয়া সপ্তাহেই এমপি'রা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি করবেন বলে থেরেসা মে ইঙ্গিত দেন। এ ভোট গত সপ্তাহে হওয়ার কথা থাকলেও মে তা পিছিয়ে দিয়েছিলেন। ভোটাভুটিতে ব্রেক্সিট চুক্তিটি পাস না হওয়ার আশঙ্কার কারণেই মে ওই পদক্ষেপ নেন বলে ধারণা করা হয়। তবে, এই ঘটনায় তার বিরোধীপক্ষরা সন্তুষ্ট নয়। বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিন তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। এই ঘটনায় মে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার সরকার পতন সম্ভব নয়।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আস্থাভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকে গেলেও থেরেসা মে'র শাসন করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন অনেক এমপি। কারণ আস্থাভোটের মধ্য দিয়ে থেরেসা মে'র কর্তৃত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় ব্রেক্সিট সংকট থেকে উত্তরণে সম্ভাব্য বিকল্প দ্বিতীয় গণভোটের কথা অনেক এমপিই বিবেচনা করছেন। এজন্য পার্লামেন্টে কোনো প্রস্তাবে মত জানানোর সময় তারা মুক্ত ভোট অর্থাৎ তাদের স্বাধীন ইচ্ছামতো ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড