অধিকার ডেস্ক ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:০২
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক রাজনীতিতে বেশ এগিয়ে ভারত। দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাকে ঘিরে ভারতের রয়েছে প্রবল ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব। যেখানে বিরোধের মূলে রয়েছে চীন। এবার শ্রীলঙ্কাতে চীনের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। পদত্যাগ করে সরে গেছেন চীনপন্থী বলে পরিচিত মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এর মধ্যদিয়ে আঞ্চলিক রাজনীতির হিসাবে জয় হলো ভারতের।
এদিকে সংকটের শুরু হয় চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বরখাস্ত মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। এই সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানান রনিল। এরপরই শুরু হয় বিধানিক সংকট। কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কয়েক দিন পর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার নেওয়া পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে আদালত রায় দেন। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার পদত্যাগ করেন চীনপন্থী রাজাপক্ষে।
অপরদিকে সিরিসেনা ও রনিলের মধ্যে এত মতবিরোধ? বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সিরিসেনাকে হত্যার কথিত ‘ষড়যন্ত্রে’ পাত্তা দেননি রনিল। আর এতেই সম্পর্কের অবনতি হয় তাদের মধ্যে। সিলন টুডে’কে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলেছেন, রনিল নাকি প্রচণ্ড উদাসীন ছিলেন এই তদন্তের বিষয়ে। আর সেটিই তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্কে চূড়ান্ত ফাটল ধরায়।
প্রসঙ্গত, উপমহাদেশে ভারত ও চীনের ‘ছায়াযুদ্ধ’ নতুন কিছু নয়। এর আগে মালদ্বীপেও এমন চিত্র দেখা গেছে।দেশটির চীনপন্থী আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে ঠেকিয়েছে ভারত। এবার শ্রীলঙ্কাতেও সফল দেশটি। চীন পন্থী রাজাপক্ষ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছিল ভারতের। কারণ ভূরাজনৈতিক ভাবে ভারতকে ঠেকাতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঢুকার চেষ্টায় রয়েছে চীন। সে কারণে শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের মতো দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর বন্দরের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। এবার সেখানেও নাটাই নিজেদের হাতে নিল ভারত।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড